পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টির অবস্থান বা গ্রুপ পরিবর্তন হয়েছে। এর মধ্যে অবস্থার উন্নতি হয়েছে ৭টির। বিপরীতে ৯টির অবনতি হয়েছে। লভ্যাংশ ঘোষণার ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিগুলোর অবস্থার এ নড়চড় হলো।
Advertisement
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। যেসব কোম্পানি ১০ শতাংশ বা তার বেশি লভ্যাংশ দেয় তারা 'এ' গ্রুপের আওতাভুক্ত হয়। এই গ্রুপের কোম্পানিগুলোকে মৌলভিত্তি সম্পন্ন বা ভালো কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
দ্বিতীয় সারির বা ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিগুলোর গ্রুপ ‘ব’। আর যে কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ দেয় না, তার স্থান ‘জেড’ গ্রুপ। জেড গ্রুপের কোম্পানিকে পচা কোম্পানি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অপর গ্রুপ ‘এন’। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির এই গ্রুপে স্থান হয়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ৩০ জুন সমাপ্ত বছর পর্যন্ত লভ্যাংশ ঘোষণায় ৩টি কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নিত হয়েছে। 'বি' গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে উঠেছে একটি কোম্পানি। আর ৩টি কোম্পানি ‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে উঠেছে।
Advertisement
অপরদিকে শেয়ারহোল্ডারদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ায় দুটি কোম্পানি ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘জেড’ গ্রুপে চলে গেছে। আর ১০ শতাংশের কম লভ্যাংশ দেয়ার কারণে ৭টি কোম্পানি ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে নেমে গেছে।
‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে উন্নিত হওয়া কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বঙ্গজ, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ইস্টার্ন কেবলস। আর ‘জেড’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে উন্নিত হয়েছে কে অ্যান্ড কিউ, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক এবং হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার। ‘বি’ গ্রুপ থেকে ‘এ’ গ্রুপে উন্নিত বিডি অটোকারস।
অপরদিকে লভ্যাংশ ঘোষণা না করায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘জেড’ গ্রুপে চলে গেছে কেয়া কসমেটিকস ও ডেল্টা স্পিনার্স। আর লভ্যাংশের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ‘এ’ গ্রুপ থেকে ‘বি’ গ্রুপে নেমেছে অ্যাপোলো ইস্পাত, ন্যাশনাল ফিড, রিজেন্ট টেক্সটাইল, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, অগ্রনি ইন্স্যুরেন্স এবং ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট।
এমএএস/জেডএ/পিআর
Advertisement