ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
Advertisement
সোমবার (৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এ দাবি জানান।
তারা বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশের হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আতঙ্কে রাজধানীর স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কমে গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছেন। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে। মেডিকেল সেন্টারে শয্যা ও ডেঙ্গু চিকিৎসার অপর্যাপ্ততা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক-অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীর জীবন হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আবাসিক হলে অবস্থানরত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ ঘোষণা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এদিকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসন প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। ফলে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
তারা বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সকলেই চিন্তিত ও আতঙ্কিত। সরকারের সংশ্লিষ্টরাও ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথেষ্ট ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। বরং সরকারের কর্তা ব্যক্তিদের সমন্বয়হীনতা ও অতিকথনে সমাজে আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। যে ডেঙ্গু এক সময় শহরকেন্দ্রিক রোগ ছিল তা এখন গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
Advertisement
ন্যাপ নেতারা আরও বলেন, মশা নিধনের ওষুধ ক্রয়ে বড় রকমের দুর্নীতি হয়েছে। দুই মেয়র নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কাণ্ডজ্ঞানহীন অসংলগ্ন কথা বলছেন। অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না। এ অবস্থায় দুই মেয়রের পদত্যাগ জনগণের দাবি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের সঙ্গে ডেঙ্গু আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে সংকট সমাধানে দেশের চিকিৎসা গবেষকদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ও স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান তারা।
কেএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement