ঈদুল আজাহার পরে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে পশুর চামড়াবাহী পরিবহন শুধুমাত্র ঢাকার দিকে যেতে পারবে। সীমান্ত জেলাসহ অন্য কোনো রুটের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ওই পরিবহনকে আটকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসন্ন ঈদুল আজাহার ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন এবং হয়রানিমুক্ত করতে এক মতবিনিময় সভায় এ নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শৈবাল কান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, চামড়া পাচার রোধ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চামড়াবাহী পরিবহন (সড়ক ও নৌ পথের) ঢাকামুখী ছাড়া অন্য কোনো রুটের দিকে যেতে দেয়া হবেনা। পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, পশুবাহী পরিবহনে তল্লাশি চালানো হবেনা। তবে এ সুযোগে পশুবাহী পরিবহনে ইয়াবা-ফেনসিডিলের মতো মাদক পাচারের সন্দেহ উড়িয়ে দেয়া যায়না। তাই পশুবাহী কোনো পরিবহন সন্দেহজনক হলে কিম্বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে ওই পরিবহনে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। সভায় বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন জানান, নগরীর দুটি বাস টার্মিনালে সৃষ্ট খানা-খন্দকের কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বারবার জানানো সত্বেও সিটি কর্পোরেশন থেকে খানা-খন্দক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক শাখার উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার সভায় অভিযোগ করে বলেন, ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকাতে লঞ্চ মালিকরা সহযোগিতা করেন না। ঈদের পরে ঢাকামুখী লঞ্চগুলো যাত্রীতে পরিপূর্ণ হওয়ার পরও বিআইডব্লিউটিএর নির্দেশে স্ট্রেশন ত্যাগ করে না। কেবিনে ভিআইপি যাত্রীর জন্য অপেক্ষার অজুহাত দেখিয়ে লঞ্চে অতিরিক্ত ডেক যাত্রী তোলা হয়। নগরীর পুলিশ লাইন্সের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপ-কমিশনার (সদর) সোয়েব আহাম্মদ, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) গোলাম রউফ খান, উপ-কমিশনার (উত্তর) আবু রায়হান মো. সালেহ এবং উপ-কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সরকারি দফতরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।সাইফ আমীন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement