ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে নগরী পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। ডিএনসিসির জনবল বাড়ছে, সঙ্গে নাগরিকদের সচেতন হতে হবে। যথা স্থানে ময়লা ফেলার অভ্যাস করতে হবে। নিজ নিজ আবাসস্থল, এলাকা, এলাকার জলাধার নিজেদের পরিষ্কার রাখতে হবে। কোনো স্থানেই তিনদিনের বেশি পরিষ্কার পানি জমতে দেয়া যাবে না।
Advertisement
রোববার (৪ আগস্ট) উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের সানবীম স্কুলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) আয়োজিত পরিচ্ছন্ন অভিযান উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, যেখানেই অপরিচ্ছন্নতা, নাগরিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং এডিস মশার বংশবিস্তার সহায়ক পরিবেশ পাওয়া যাবে সেখানেই জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আধুনিক ও উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসি সচেষ্ট রয়েছে। নাগরিকদের দ্রুত ও উন্নত সেবা দিতে ডিএনসিসি বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতি ক্রয় করছে। আমরা ইতোমধ্যে মোটরসাইকেলে মশক নিধন যন্ত্র স্থাপন করে দ্রুততম সময়ে অধিক এলাকায় মশার ওষুধ প্রয়োগ করছি। এতে সময় ও লোকবল দুটিই সাশ্রয় হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দফতর, স্থাপনা, বাসা-বাড়ি পরিদর্শন করছি, আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও তৎপর রয়েছেন।
বিএনসিসি ক্যাডেটদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, আমাদের সুনাগরিক হতে হবে। একজন সুনাগরিক কখনো রাষ্ট্রের ক্ষতি করে না, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ফেলে না, ভূমি দখল করে না, নদী-খাল দখল করে না।
Advertisement
আমি নিজেও ছাত্রজীবনে বিএনসিসি ক্যাডেট ছিলাম। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বিএনসিসির ক্যাডেটরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।
পরে মেয়র বিএনসিসি কর্তৃক উত্তরা ১০ ও ১১ নম্বর সেক্টরের মাঝের খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনসিসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল বাতেন খান, ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএস/এএইচ/জেআইএম
Advertisement