আন্তর্জাতিক

টেক্সাসের ক্রুসিয়াস ক্রাইস্টচার্চের ব্রেন্টনের অনুসারী : এফবিআই

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে ওয়ালমার্টের একটি দোকানে গতকাল স্থানীয় সময় শনিবার সকালে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ২০ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় শ্বেতাঙ্গ এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি হামলার আগে একটি ইশতেহার প্রকাশ করেছিলেন। যেখান থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টের অনুসারী তিনি।

Advertisement

মার্কিন প্রভাবশালী দৈনিক নিউিইয়র্ক টাইম তাদের অনলাইনে প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এল পাসোর হত্যাকাণ্ড ক্রাইস্টচার্চ গণহত্যা থেকে অনুপ্রাণীত। কর্তৃপক্ষ হামলা ঘটনা জানার ঠিক ১৯ মিনিট আগে অনলাইনে অভিবাসন বিরোধী বিদ্বেষমূলক একটি ইশতেহার প্রকাশ পায়।

ইশতেহারে টেক্সাসে স্প্যানিশ ভাষাভাষী ল্যাতিন আমেরিকার যেসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে তাদের ওপর আক্রমণের কথা বলা হয়েছে। ইশতেহারের মাধ্যমে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে যে বিদেশিদের কারণে শ্বেতাঙ্গ মানুষরা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে দিনকে দিন।

আরও পড়ুন> টেক্সাসে শপিংমলে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ২০

Advertisement

তদন্ত কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৩০০ শব্দের ওই ইশতেহার যাঁচাই-বাঁছাই করার মাধ্যমে এটা নিশ্চিত হতে চাচ্ছে যে, এটা কি সেই ব্যক্তি লিখেছে যে মেক্সিকো সীমান্ত লাগোয়া টেক্সাসের এল পাসোর ওই শপিংমলে বন্দুক হামলা চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা এবং ২৪ জনকে আহত করেছেন।

গ্রেফতার ২১ বছর বয়সী হামলাকারী অ্যালেনের বাসিন্দা প্যাট্রিক ক্রুসিয়াসকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তার বাড়ি থেকে এল পাসোতে অবস্থিত ওই শপিং মলেরও দূরত্ব ১০ ঘণ্টারও বেশি। তদন্ত কর্মকর্তারা এটা বোঝার চেষ্টা করছেন যে, কী কারণে তিনি এতদূর থেকে এসে একটা জনবহুল শপিং মলে হামলা চালালেন।

হামলাকারী ক্রুসিয়াসের সঙ্গে যুক্ত ওই ইশতেহারে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য হামলা এবং বিদ্রুপ করে বলা হচ্ছে, ‘যদি আমরা বেশি মানুষের কাছ থেকে মুক্ত হতে পারি তাহলে আমাদের জীবন হবে আরও সুন্দর এবং টেকসই।’

আরও পড়ুন> ফের এক শ্বেতাঙ্গ তরুণের বন্দুকের গুলিতে প্রাণ গেল ২০ জনের

Advertisement

স্বাক্ষরবিহীন ওই ইশতেহারে শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘দ্য ইনকনভেনিয়েন্ট ট্রুথ’ বা ঝামেলাপূর্ণ সত্য। যার মাধ্যমে গত মার্চে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামলা করে ৫১ জনকে হত্যাকারী ব্রেন্টন ট্যারান্টের হুবহু মিল পাওয়া যায়।

ক্রাইস্টচার্চে হামলাকারী বেন্টন ট্যারান্ট মসজিদে ঢুকে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যার ঘটনার ফেসবুকে লাইভ (সরাসরি সম্প্রচার) করেন। তিনিও একটি ইশতেহার প্রকাশ করেন হামলার আগে যার শিরোনাম ছিল ‘দ্য গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’।

এ ছাড়াও এই দুই হামলাকারী দুজনেই ব্যবহার করেছেন স্বয়ংক্রিয় রাইফেল। আর একটি বড় ব্যাপার হলো তারা কাউকে সঙ্গে নয় তারা হামলা চালিয়েছেন একাই এবং সেটা জনবহুল এলাকায়। তারা দুজনই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে চরম উগ্রপন্থী।

এসএ/এমএস