রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করতে দেশে সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের সমন্বয়ে নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত পাদুকা রফতানির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। কিন্তু অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এ সুবিধা পাচ্ছে না। এসব প্রতিষ্ঠানকে একই সুবিধা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
Advertisement
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার দেশের রফতানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে সিনথেটিক ও ফেব্রিক্সের সমন্বয়ে কারখানায় উৎপাদিত পাদুকা রফতানির ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ জন্য ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কিন্তু ওই প্রজ্ঞাপনে অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেয়া হবে না বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একই প্রজ্ঞাপনে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক বা শুল্কবন্ড সুবিধা একসঙ্গে প্রযোজ্য হবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বর্ণিত প্রজ্ঞাপনে ইপিজেড ও অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একই ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হয়েছে। ইপিজেডের সকল প্রতিষ্ঠানই বন্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণত ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ডের আওতায় শুল্ককরাদিবিহীনভাবে কাঁচামাল আমদানি বা ক্রয় করে থাকে। তাই ইপিজেডের প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক প্রদান করা হয় না।
Advertisement
কিন্তু অর্থনৈতিক অঞ্চলে বন্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান এবং বন্ড লাইসেন্সবিহীন (দেশীয় ভোগ ও রফতানিমুখী) উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাই অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ইপিজেডের ন্যায় একই ক্যাটাগরিতে ঢালাওভাবে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক প্রদান না করা হলে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বন্ড লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো অসম প্রতিযোগিতায় পড়বে।
এ প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে যে সকল প্রতিষ্ঠানকে রফতানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক প্রদান করা হয় অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই সুবিধা প্রদান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হলো।
এমইউএইচ/বিএ/পিআর
Advertisement