দেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি কমওয়ার্ড পুরস্কার পেয়েছে অন্যতম বৃহৎ শিল্প গোষ্ঠী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চারটি ব্র্যান্ড। এগুলো হলো- প্রাণ ফ্রুটো, আরএফএল প্লাস্টিক, আরএফএল এবং স্টিকি গ্লু।
Advertisement
শনিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে কমিউনিকেশন সামিটের পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞাপন শিল্পের সবচেয়ে বড় স্বীকৃতি কমওয়ার্ডের নবম সংস্করণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ী ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
পরিবর্তনের যুগে সৃজনশীলতার উৎকর্ষতা- এ প্রতিপাদ্যে নবম কমিউনিকেশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী এ কমিউনিকেশন সামিট শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় কমওয়ার্ডের নবম আসর। এ আসরে দেশের সবচেয়ে সৃজনশীল কাজগুলোকে গ্রাঁপ্রি, গোল্ড, সিলভার ও ব্রোঞ্জ- এ চার ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।
এ বছর মোট ২৩টি ক্যাটাগরিতে ৬৫৯টি কাজ জমা পড়েছিল; যাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত সৃজনশীল কাজগুলো যথাক্রমে ৩টি গ্রাঁপ্রি, ১৫টি গোল্ড, ২৭টি সিলভার এবং ৩৬টি ব্রোঞ্জ অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়। এছাড়া গ্রে বাংলাদেশকে ৬৬তম কান্স লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটিতে ৩টি কান লায়ন্স জিতে নেয়ার জন্য বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চার ব্র্যান্ড বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা বিজ্ঞাপনের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬টি পুরস্কার অর্জন করে। এর মধ্যে তিনটি একক ও তিনটি যৌথভাবে পুরস্কার লাভ করেছে। এককভাবে পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও অ্যান্ড জেড সলিউশনস, যৌথভাবে রয়েছে বাঘের বাচ্চা ডিজিটাল।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে, কানস লায়ন্স ইন্টারন্যাশনাল ফেস্টিভ্যাল অব ক্রিয়েটিভিটির অংশীদারিত্বে এবং দ্য ডেইলি স্টারের পৃষ্ঠপোষকতায় কমিউনিকেশন সামিট এবং কমওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশে ব্যবসা এবং বিপণনের সৃজনশীলতা প্রসারে কমিউনিকেশন সামিট সবচেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম যেখানে দেশি-বিদেশি নামকরা সব বিজ্ঞাপন ও বিপণন বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফুল ইসলাম। তিনি বলেন, সৃজনশীল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু সমসাময়িক প্রেক্ষাপটের দিকে তাকালে বোঝা যায়, সৃজনশীল যোগাযোগ ব্যবস্থায় এখন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অভিমুখীকরণের পুনঃস্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার একান্ত প্রয়োজন।
Advertisement
২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া কমিউনিকেশন সামিট বাংলাদেশের সৃজনশীল যোগাযোগ এবং বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রেখে আসছে। এ বছর সামিটে মূল বক্তব্য রেখেছেন বিশ্বখ্যাত তিনজন সৃজনশীল যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ। সামিটে ছিল তিনটি মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা, তিনটি প্যানেল আলোচনা, একটি ইন্টারঅ্যাকশন/ইন্টারভেনশন, তিনটি লোকাল ইনসাইট এবং তিনটি গ্লোবাল ইনসাইট।
এসআই/এমএসএইচ