জাতীয়

বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের গুরুতর অভিযোগ

অপহরণের শিকার না হয়েও বাবার দেয়া মামলায় দিশেহারা নিজেকে ও স্বামীর পরিবারকে বাঁচাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও আইজিপির প্রতি আবেদন জানিয়েছেন শেফা আলম নামে এক নারী।

Advertisement

শনিবার ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেফা আলম এ আবেদন জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেফা আলমের স্বামী ইব্রাহিম আহমেদ রাজু, শাশুড়ি মজিদা, ননদ রেহানা আক্তারসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে শেফা আলম জানান, ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট ভালোবেসে ইব্রাহিম আহমেদ রাজুকে নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু তার বাবা মো. খোরশেদ আলম আমাকে জোর করে রাজুর কাছ থেকে ছিনিয়ে আনেন। সে সময় আমার বয়স কম থাকায় আমি আইনি লড়াই করতে পারেনি। রাজু ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে আমাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মিথ্যা মামলা করেন বাবা।

তিনি জানান, দেশের আইন অনুযায়ী আমার বয়স ১৮ পূর্ণ হওয়ার পর গত বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আমি রাজুকে ইসলামি শরিয়া ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী পুনরায় বিয়ে করে সুখে সংসার শুরু করি। এতে তার বাবা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে স্বামীর কাছ থেকে জোর করে তুলে নিয়ে বাসায় আটকে রাখেন। একই সঙ্গে বাবা তার স্বামী ও তার পরিবারের নানা ধরনের ক্ষতি করবেন বলে পরিকল্পনা করতে থাকেন।

Advertisement

শেফা আলম বলেন, বিষয়টি বুঝতে পেরে আমি ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর বাবার বাসা থেকে পালিয়ে স্বেচ্ছায় স্বামীর বাসাই চলে যাই। একই দিন আমি নিজে টঙ্গী পশ্চিম থানায় গিয়ে আইনের সহায়তার জজ্য জিডি করি-(জিডি নং২৫২)। এরপর আমার বাবা আবারো রাজু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আমাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মামলা করেন। শুধু তাই নয়, তিনি প্রভাব খাটিয়ে ২০১৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজুকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারি করিয়ে আমাকে তুলে নিয়ে বাসায় আটকে রাখেন। এরপর আমাকে দিয়ে জোর করে স্বামীর ক্ষতি করার ভয় দেখিয়ে কোর্টে মিথ্যা সাক্ষী দিতে বাধ্য করে।

‘৫ মাস পর আমার স্বামী জেল থেকে ছাড়া পেলে আমি পুনরায় বাবার বাসা থেকে পালিয়ে স্বামীর রাজুর কাছে চলে যাই। আমার বাবার একের পর এক মিথ্যা মামলায় রাজু এ পর্যন্ত তিনবার জেল খেটেছে। বাদ যায়নি তার বৃদ্ধা মা, বোন জামাইও।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুই বচ্চার জনক সেলিম নামে সিটি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা ঘরে বউ থাকতেও আমাকে বিয়ে করতে চান। আমার বাবা রাজি হয়ে আমাকে তার সঙ্গে বিয়ে দেয়ার জন্য তার কাছ থেকে প্রায় ১০ লাখ টাকা নেন। এখন ও সেলিম আমাকে পাওয়ার জন্য বাবাকে চাপ দেয়ায় আমার স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একই অপহরণের অভিযোগে তিনটি মামলা করেছেন। অথচ আমি কখনোই অপহরণের শিকার হয়নি।’

শুধু তাই নয়, বর্তমানে রাজুকে হত্যার জন্যও নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মেয়ে। এ অবস্থা থেকে স্বামী ও তার পরিবারকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আরএম/জেডএ/এমকেএইচ

Advertisement