দিন দিন আঙুল ও হাতের তালুতে মাংস বেড়ে যাচ্ছে গোলাম রাব্বানির। অর্থাভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারছে না তার পরিবার। কি কারণে তার আঙুল ও হাতের তালুতে মাংস বৃদ্ধি পাচ্ছে তা জানা সম্ভব হয়নি। গোলাম রাব্বানি নওগাঁর সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের কৈবর্ত্ত গ্রামের দিনমজুর শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং নওগাঁ সরকারি কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র।
Advertisement
রাব্বানির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জন্মের পর থেকে রাব্বানির ডান হাতের বৃদ্ধা ও তর্জনী আঙ্গুল অন্যান্য আঙুল থেকে একটু আলাদা ছিল। তবে রাব্বানি ছোট থাকায় পরিবারের তেমন কোনো গুরুত্ব ছিল না। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তার দুই আঙুল ও হাতের তালুতে মাংস। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। তখন জানানো হয়েছিল এ রোগ আরোগ্যময় নয়। অপারেশনের পর ভালো হওয়ার সম্ভবনা নেই। তারপর থেকে আর ডাক্তার দেখানো হয়নি। বলতে গেলে অর্থের অভাবে ভালো ডাক্তার ও চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি।
গোলাম রাব্বানি বলেন, শীতের সময় আঙুলে অনেক ব্যথা করে। হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরা যায় না। ব্যথা হলে হোমিও ওষুধ খেতে হয়। এতে খরচ কিছুটা কম লাগে। আঙুলের এমন অবস্থা দেখে ছোট থেকেই বাম হাতে লেখার অভ্যাস করেছি। তবে আঙুল দিন দিন যেভাবে বড় হচ্ছে এবং ভয়ও লাগছে। আবার হাতের তালুতেও মাংস বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে সমস্যা আরও বাড়ছে। ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন।
গোলাম রাব্বানির বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, দুই ছেলেকে কষ্ট করে পড়াশোনা করানো হচ্ছে। ছোট ছেলে সাজেদুর গ্রামের স্কুলের ১০ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। আর বড় ছেলে রাব্বানী শহরে থেকে পড়াশোনা করছে। ছেলের এমন অবস্থার জন্য সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।
Advertisement
নওগাঁ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল বারী বলেন, এটি একটি ‘কনজেনিট্যাল ডিফারমেটি’ রোগ। যা জন্মগতভাবে হয়ে থাকে। এটি আস্তে আস্তে আরও বৃদ্ধি পাবে। তবে এ রোগ নিয়ে প্লাস্টিক সার্জনের সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দেন তিনি।
আব্বাস আলী/এমএএস/এমএস