কাশ্মীর নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ার মাধ্যমে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বিজেপি সরকার। দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে। কাশ্মীর উপত্যকায় অমরনাথ যাত্রা চলাকালীন হিন্দু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার সরকারি নির্দেশের প্রেক্ষিতে এমন দাবি করেছে কংগ্রেস।
Advertisement
গতকাল ভারত সরকার কশ্মীরের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করে। সেখানে অবস্থারত অমরনাথ যাত্রাকারী হিন্দু তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের দ্রুত উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। আর এমন নির্দেশনা দেয়ার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মানুষ।
অমরনাথ যাত্রায় অংশ নেয়া হিন্দু তীর্থযাত্রীরা দ্রুত নানা যানবাহনে করে কাশ্মীর ছাড়তে শুরু করেন। পর্যটকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। রাজধানী শ্রীনগরসহ বিমানবন্দর থেকে শুরু করে সবখানে এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকরাও দ্রুত কাশ্মীর ত্যাগ করা শুরু করেন।
কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা গোলাম নবী আজাদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনা মানুষের মধ্যে মারাত্মক আতঙ্ক তৈরি করেছে। পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের এভাবে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়ার মাধ্যমে সরকার কাশ্মীরে ঘৃণা তৈরি করার অপচেষ্টা করছে। কাশ্মীর বহিরাগতদের জন্য নিরাপদ। ভারত সরকারের নেয়া এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’
Advertisement
বড় ধরনের হামলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার দাবি করে গতকাল শুক্রবার অমরনাথ যাত্রায় অংশগ্রহণকারী হিন্দু তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের যত দ্রুত সম্ভব জম্মু-কাশ্মীর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় সরকার।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে বড় ধরনের হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। মূলত অমরনাথ যাত্রীরাই তাদের লক্ষ্য। উপত্যকায় এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি, তাতে অমরনাথ যাত্রী এবং পর্যটকদের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে নিরাপদে কাশ্মীর ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।’
সরকারের এমন ঘোষণা আসার পর স্থানীয় কাশ্মীরিরা পেট্রল স্টেশন, খাবারের দোকান, এটিএম বুথ ইত্যাদিতে ভীড় জমাতে শুরু করেন। বিভিন্ন দোকানে লম্বা লাইন পড়ে যায়। তারা আতঙ্কিত হয় যার যা প্রয়োজন তার ব্যবস্থা করে ঘরে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা তথ্যের কথিত হামলার বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।
পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের দ্রুত কাশ্মীর ছাড়ার সরকারি নির্দেশনা জারি হওয়ার পর রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা তৈরি হয়েছে সেখানে। হামলার আতঙ্কের পর কাশ্মীর ভ্রমণ না করতে নাগরিকদের সতর্ক করে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
Advertisement
এসএ/এমএস