বিনোদন

যৌন রোগের ওষধু বিক্রি করে লোকসানে সোনাক্ষি

এস, ই, এক্স- সেক্স। তিন অক্ষরের শব্দটি নিয়েই যত গোলমাল। এই শব্দ মানেই ‘নিষিদ্ধ’ গন্ধ। এ শব্দ প্রকাশ্যে উচ্চারণ করা যায় না। বাচ্চাদের সামনে কখনোই নয়। গুরুজনের সামনে মুখ ফস্কে যদি বেরিয়েও যায়, সবার মুখ ঘুরে যাবে অন্যদিকে! এটাই এ সমাজের নিয়ম।

Advertisement

সেই ‘সেক্স’ নিয়েই যত গোল বেদী পরিবারে। বাপমরা মেয়ে বেবি বরাবরই তার মামার ভক্ত। মামা ইউনানি হাকিম, সেক্স ক্লিনিক চালায়। সেখানে মাঝে মধ্যেই ঢুকে পড়ে ছোট্ট ভাগনি। একদিন সাইনবোর্ড লিখিয়ে সেক্সের ভুল বানান লিখে আনে। মামাকে সবার সামনে বানান শুধরে দেয় বেবি। দেখে রাগে ফেটে পড়ে বেবির মা।

মারা যাওয়ার আগে মামা তার প্রিয় ভাগগির নামে লিখে দিয়ে যায় সেই সেক্স ক্লিনিক, ‘খানদানি শফাখানা’। প্রথম থেকেই সেই ক্লিনিক নিয়ে আপত্তি ছিল বেবির মায়ের। তাকে না জানিয়েই ক্লিনিকে গিয়ে বসতে শুরু করে বেবি। সেক্স ক্লিনিক চালাবে একটি মেয়ে- এ সমাজ সেটা মেনে নিতে অপারগ।

ফলে ঘরে-বাইরে সংঘাতের মুখে পড়ে বেবি। শেষে ডাক্তারি বা হেকিমি পাস না করেও ক্লিনিক চালানোয় তাকে জেলে যেতে হয়।

Advertisement

এমনই এক গল্পে পরিচালক শিল্পী দাশগুপ্ত নির্মাণ করেছেন ‘খানদানি শফাখানা’। এখানে বেবি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোনাক্ষি সিনহা। তবে ২৬ জুলাই মুক্তি পাওয়া ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়েছে বক্স অফিসে।

নিজের সেরা অভিনয় দিয়েও সোনাক্ষি ব্যবসার মুখ দেখাতে পারেননি ছবিটিকে। বরুণ শর্মা, অন্নু কাপুর, কুলভূষণ খারবান্দার মাপমতো অভিনয়ও জলে গেল। র‌্যাপস্টার বাদশাকে এনে চমক দিতে চেয়েছেন পরিচালক। কিন্তু তাও দাগ কাটতে পারেনি। কলকাতার রাজেশ শর্মাকে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গেছে।

সবাই ছবিটির ভরাডুবির জন্য পরিচালনার দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন। পরিচালক যৌনতা নিয়ে সচেতনতা প্রকাশ করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছেন।

এলএ/এমকেএইচ

Advertisement