নানা বিতর্কের পর চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম তার আলোচিত সেই শটগানসহ দুটি অস্ত্র থানায় গিয়ে জমা দিয়েছেন।
Advertisement
শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নগরের খুলশী থানায় হাজির হয়ে দিদারুল আলম মাসুম তার শটগান ও পিস্তল জমা দেন। এর আগে গতকাল (২ আগস্ট) শুক্রবার দুপুরে মাসুমের বাসায় অস্ত্র দুটি জব্দের জন্য যায় পুলিশ। তবে অস্ত্র না পেয়ে তারা বাসায় নোটিশ দিয়ে আসে।
দিদারুল আলম মাসুম নগরীর লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এর আগে লালখান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এফ কবির মানিক নিজের এবং এলাকাবাসীর ‘নিরাপত্তাহীনতার’ কথা উল্লেখ করে দিদারুল আলম মাসুমের নামে থাকা দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের নিবন্ধন বাতিলের আবেদন করেছিলেন। আবেদনে মাসুমকে চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তাকে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেন তিনি।
Advertisement
অভিযোগকারী এফ কবির মানিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য এবং গত এক দশকের বেশি সময় ধরে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কাউন্সিলরের আবেদনে সাড়া দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে উপ-সচিব আব্দুল জলিলের স্বাক্ষরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো একটি চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে দিদারুল আলম মাসুমের নামে থাকা দুটি (শটগান/৫৪৪৪/ডবলমুরিং ও পিস্তল/৩৩/খুলশী) আগ্নেয়াস্ত্রের নিবন্ধন বাতিল করে অস্ত্র ও গুলি সরকারের হেফাজতে জমার আদেশ দেয়া হয়।
২০১৩ সালে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার মোড়ে দিদারুল আলমের অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সে সময় প্রকাশ্যে শটগান থেকে গুলি ছোড়ার সেই ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। থানা পুলিশের কাছে জমা দেয়া অস্ত্র দুটির মধ্যে সেই শটগানটিও রয়েছে।
আবু আজাদ/এনডিএস/এমকেএইচ
Advertisement