দেশজুড়ে

রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন মা

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রেমিকার ভাই ও বন্ধুদের পিটুনিতে নিহত হয়েছেন ফয়সাল (১৮)। আদরের সন্তানকে হারিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁদছেন মা শিউলি বেগম। সেই সঙ্গে ছেলের ছবিতে চুমু খাচ্ছেন এবং আদর করছেন তিনি।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের ছোট ছেলে হওয়ায় মায়ের আদরের ছিলেন ফয়সাল। ছেলের অকাল মৃত্যুকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মা শিউলি বেগম। ছেলে হারানোর শোকে অশ্রু ঝরছে তার। তাই ছেলে হত্যার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কেঁদেছেন তিনি।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে নিহত ফয়সালের খুনের বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে অঝোরে কেঁদেছেন মা শিউলি বেগম।

এ সময় মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন নাসিক ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন।

Advertisement

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফয়সালকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে ফয়সাল হত্যার বিচার দাবি করছি। যাতে এমনভাবে আর কোনো ছেলেকে প্রাণ হারাতে না হয়, কোনো মায়ের কোল খালি না হয়।

ফয়সালের পরিবার জানায়, খানপুরের বরফকল এলাকার সামিয়া আক্তারের সঙ্গে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সামিয়ার একটি নষ্ট ফোন ফয়সালকে মেরামত করতে দিয়েছিল। বুধবার (৩১ জুলাই) ফোনটি মেরামত করে সামিয়ার বাসায় দিয়ে আসতে যায় ফয়সাল। তাকে বাড়িতে দেখে সামিয়ার ভাই আসিফ তার বন্ধুদের ডেকে এনে মারধর করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় ফয়সালের বাবা নুরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন- নিহত ফয়সালের প্রেমিকা সামিয়ার ভাই আসিফ (১৯), আসিফের পাঁচ বন্ধু যথাক্রমে রওনক হোসেন সানজি (২০), একই এলাকার মিলন (১৯), সাকিব হোসেন (১৯), সায়ীম হোসেন (১৯), শাওন বিন দেওনজী ওরফে মিম (১৯)। আসামিরা নগর খানপুর এলাকার বাসিন্দা। এদের মধ্যে শাওন দেওনজী ছাড়া বাকিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এএম/এমকেএইচ

Advertisement