নওগাঁয় ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে ডেঙ্গু। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ১০ জন রোগী নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের বেশির ভাগই ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে নওগাঁয় এসেছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
নওগাঁ সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত ৩০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা থেকে ঘরমুখি হচ্ছে মানুষ। এতে করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। যারা ডেঙ্গুকে আক্রান্ত হয়ে নওগাঁয় ফিরিছেন তাদের কেউ ঢাকাতে পড়াশুনা এবং আবার কেউ আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে স্থানীয়ভাবে চারজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, যাদের গায়ে সামান্য জ্বর ও শরীর ব্যাথা হচ্ছে আতঙ্কে তারাও চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ছুটে আসছেন। পরীক্ষার পর ডেঙ্গুর কোনো উপসর্গ না থাকায় তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তবে হাসপাতলে ডেঙ্গু পরীক্ষায় পর্যাপ্ত কিটস না থাকায় ভোগান্তীর মধ্যে পড়তে হয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। বাড়তি টাকা খরচ করে বাহিরের ক্লিনিকে পরীক্ষা করতে হচ্ছে।
নওগাঁয় গত ২৭ জুলাই থেকে ২ আগস্ট পর্যন্ত ৩০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন নারী ও ২৩ জন পুরুষ। বর্তমানে ২০ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। বাকি ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।
Advertisement
এদিকে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় ডেঙ্গু রোগীদের সংরক্ষিত ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে।
নওগাঁর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রওশন আরা খানম বলেন, ডেঙ্গু রোগী শনাক্তকরণে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ‘এনএস-১’ ১০০টি নিয়ে আসা হয়েছে। যারা জ্বর নিয়ে হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ভর্তি হয়েছিল তাদের এ যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় ‘এনএস-১’ পর্যাপ্ত না থাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে আরও যে যন্ত্র ‘আইজিজি ও আইজিএম ডিভাইস’ লাগবে সেগুলোর জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার হাসপাতালে পর্যাপ্ত স্যালাইন ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট।
আব্বাস আলী/এমবিআর/এমএস
Advertisement