দেশে-বিদেশে আলোচিত সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর প্রিয় লোক ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম।
Advertisement
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক মানিক মিয়া মিলনায়তনে ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার : আমাদের মতামত’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি একটা ভুল করে থাকেন, তবে সেটা হলো এসকে সিনহাকে প্রধান বিচারপতি করা। তবে তাকে প্রধান বিচারপতি করার উদ্দেশ্য ছিল দেশের সংখ্যালঘু মানুষদের আশ্বস্ত করা। কিন্তু সিনহা সময়মতো ধরা পড়েছেন।
সাবেক খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের প্রিয় লোক হচ্ছেন সিনহা।
Advertisement
আপিলে মীর কাশেম আলীর যুদ্ধাপরাধের মামলা অধিকতর তদন্তে পাঠাতে গোপন চুক্তি হয়েছিল উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, মীর কাশেম আলীর মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়ে এদিকে জুডিশিয়াল ক্যু করার ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিলেন সিনহা। পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তো ছাড়াই পেতেন। ঠিক একইভাবে বিদেশের মাটিতে বসেও সিনহা আজ ষড়যন্ত্র করছেন। আমাদের মনে হচ্ছে প্রিয়া সাহার সঙ্গে সিনহার একটা যোগসূত্র থাকতে পারে। এটা খতিয়ে দেখা দরকার।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক স্বদেশ রায় বলেন, এসকে সিনহা ড. কামাল হোসেন নামের একই অর্থ। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হবে আর কামাল হোসেন থাকবেন না, তা হতে পারে না। এদিকে প্রধান বিচারপতি হয়ে এসকে সিনহা যা করেছিলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমান ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে তাই করেছিলেন।
বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফা, নাগা আর্মিদের সঙ্গে এসকে সিনহার সরাসরি যোগাযোগ ছিল দাবি করে স্বদেশ রায় বলেন, এসকে সিনহা আইএসের সঙ্গেও যোগাযোগ রক্ষা করতেন। তার উদ্দেশ্য ছিল জুডিশিয়াল ক্যু করা। উদ্দেশ্য ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ১৫১ জন সংসদ সদস্যের পদ অবৈধ ঘোষণা করে সরকারের পতন ঘটানো।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়। আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
Advertisement
এফএইচ/জেডএ/এমএস