একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তৈরি পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড। নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতায় নানা অজুহাতে বিভিন্ন কারখানাকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে সংস্থাটি। এতে করে কমছে পোশাক রফতানি, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শ্রমিক।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর হোটেল আমারিতে পোশাক কারখানার অগ্নিনিরাপত্তা সংক্রান্ত কর্মশালা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি রুবানা হক। এ সময় অ্যাকর্ডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
হাইকোর্টের আদেশের পর সমঝোতা চুক্তি হয়। কিন্তু অ্যাকর্ড চুক্তির শর্ত না মেনে একতরফা নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে- এমন অভিযোগ করে রুবানা হক বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে আমাদের দেশে কাজ শুরু করে সেভাবেই আমাদের কারখানাগুলোর সেফটির বিষয়টি মাথায় রেখেই শিল্পসংশ্লিষ্টরা বিনিয়োগ করেন। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের নতুন করে হওয়া চুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। বিজিএমইএর অজান্তেই গঠন করা হয়েছে অ্যাকর্ডের প্রোটোকল। এছাড়া অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়ে অ্যাকর্ড কারখানাগুলোর ওপর নতুন নতুন শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিগত ছয় বছরে অ্যাকর্ড ১৬০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২০০ প্রতিষ্ঠানকে পরিদর্শন সনদ দিয়েছে। গত ৮ মে থেকে তারা সময় বাড়িয়ে ২৮১ দিনের সময় নিয়েছে ১৪০০ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে। এটা কীভাবে সম্ভব?
Advertisement
তিনি বলেন, বিজিএমইএর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছাড়াই ৪০০ কারখানাকে সতর্ক (এক্সেলেটেড) করেছে অ্যাকর্ড। কারখানাগুলোর নকশা, বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটির পরও টেস্টিংয়ে ফেল দেখানো হচ্ছে। এতে রফতানি আদেশ ও কারখানার ব্যবসা কমেছে। শ্রমিকরা চাকরি হারাচ্ছে।
রুবানা হক বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করেছে। যে কাজটি তাদের পাঁচ বছর আগে করার কথা ছিল সেটি তারা এখন করছে। যা আমাদের জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া বন্ধ করতে তিনি দাবি জানান।
এসআই/বিএ/এমকেএইচ
Advertisement