রাজনীতি

দুর্নীতির আড্ডাখানা ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন : গয়েশ্বর

ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন দুর্নীতির আড্ডাখানা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

Advertisement

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জাতীয় মানবাধিকার আন্দোলন আয়োজিত ‘মানবাধিকার ও আইনের শাসনের চরম অবনতি: কোন পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

সরকারের চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি দুর্বল সরকার। আর সরকার কোনো ভালো অবস্থানে নেই। আরেকজন (প্রধানমন্ত্রী) চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে গিয়েছেন। দেশের অবস্থা ভয়াবহ। কিন্তু তার চেয়ে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর অবস্থা ভয়াবহ। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা বন্ধ করে তিনি আসতে পারতেন।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ বন্যায় ভাসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আসতে পারছেন না। তাহলে তিনি কঠিন অবস্থানের মধ্যে আছেন। এর কারণে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তিনি আসতে পারছেন না। শোনা যাচ্ছে, নানা রকম সমস্যা। আর চোখের আলোটা আমাদের প্রধানমন্ত্রীর বেশি জরুরি। তাহলেই তো মানুষের চোখের দিকে তাকালে তাদের চোখের ভাষাটা কি তা বুঝতে পারবেন? তবে আমরা চাই, আল্লাহ উনার চোখ ভালো করুক। আল্লাহ তার চোখ, শরীর ও ভাবনাটা সুস্থ করুক। আর আল্লাহ যেনো উনাকে মানুষকে ভালোবাসার তৌফিক দেন। কারণ আমরা কোন মানুষের অমঙ্গল কামনা করি না।

Advertisement

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর বলেন, রাজনৈতিক নেত্রীর মুক্তি হয় রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন খালোদা জিয়া) জেলখানার যাওয়ার পরে আমরা কোন আন্দোলন করতে পারি নাই, যে সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবে। আর আন্দোলনে কোন আওয়াজও আমরা আদালতে দিতে পারিনি। আর বেগম জিয়াকে মুক্তি না দিলে জজদের ওপরে জনগণ ক্ষুব্ধ হবে। এই বার্তাও আমরা দেই নাই।

তিনি বলেন, গণপিটুনির আড়ালে অন্য কোন উদ্দেশ আছে কি না? সে বিষয়টি আনতে হবে। সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, এর সঙ্গে বিরোধী দলের হাত আছে। তার মানে কি? তার মানে, দেশকে চরম একটা অবস্থানের মধ্যে ফেলে দেয়া এবং কোন একটা সময়ে তারা নিজেরাই দেশ ছেড়ে কেটে পড়ে কি না।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, রবিউল আলম, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ

Advertisement