কয়েক দিন ধরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) স্রোতের মতো আসছিল ডেঙ্গু রোগী। রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তবে আশার কথা হচ্ছে, ঢাকা মেডিকেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে এসেছে।
Advertisement
গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালটিতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ জন। ২৪ ঘণ্টার হিসাবে যা গত কয়েকদিন ছিল ২০০ এর ওপর। ডেঙ্গু রোগী কমে আসার এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাক্তার নাসির উদ্দিন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এ সংখ্যাটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২০০-এর ওপরে। সেটা এখন কমে এসেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়েনি, আগের ১১ জনই আছে। এদের মধ্যে জুলাই মাসে মারা গেছে ১০ জন। বাকি একজন মারা গেছেন জুনে।
নতুন ডেঙ্গু রোগী আসার সংখ্যা কমলেও হাসপাতালটিতে এখনও ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিতে ভর্তি আছেন ৬৯৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৭ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়ার পর ডেঙ্গু রোগীর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে। এ হিসাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে যে সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছেন, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন তার তিনগুণেরও বেশি।
Advertisement
এ বিষয়ে ডাক্তার নাসির উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে চিকিৎসকদের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে গতকাল শুক্রবার (২ আগস্ট) ও তার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন তিন হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬২২ জন, বেসরকারিতে ৩৭০ জন এবং বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে ৬৯১ জন ভর্তি হন।
শুক্রবারের হিসাবে সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ৫৮২ জন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মোট ভর্তি হয়েছেন ২১ হাজার ২৩৫ জন রোগী।
এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৩৭, ফেব্রুয়ারিতে ১৯, মার্চে ১৭, এপ্রিলে ৫৮, মে-তে ১৯৩, জুনে ১৭৬৩, জুলাইয়ে ১৫৬১৪ এবং আগস্ট মাসের দুদিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ৪০৫ জন।
Advertisement
রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৯০, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১৯, খুলনা বিভাগে ৯১, রংপুর বিভাগে ৩৮, রাজশাহী বিভাগে ৮৭, বরিশাল বিভাগে ৭৭, সিলেট বিভাগে ১১ ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৭৮ জন ভর্তি হয়েছেন।
এমএএস/জেইউ/জেএ/এমএআর/জেআইএম