দেশজুড়ে

ঢাকায় চিকিৎসার জন্য গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ভাইস চেয়ারম্যান

ঢাকায় অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান আলেয়া বেগম। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে তাকে গুরুতর অবস্থায় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্প্রতি অন্য একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকায় চিকিৎসা করাতে যান। সেখান থেকে ফিরে তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. দেবাশীষ দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ে রাখা হয়েছে।

এদিকে হবিগঞ্জে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং দুইজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও সাতজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আক্রান্তদের অধিকাংশই লাখাই উপজেলার বাসিন্দা।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৭ দিনে জেলার বিভিন্ন স্থানের ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৫ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তারা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মাঝে লাখাই উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের পাবেলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং শায়েস্তাগঞ্জের কদমতলীর জালাল উদ্দিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাছিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামের ইউসুফকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া সদর উপজেলার রিচি গ্রামের লিটন মিয়াকে সদর আধুনিক হাসপাতালে, লাখাই উপজেলার কালাউক গ্রামের নূরুল আলম, লখনাউক গ্রামের সাইফুল, তেঘরিয়া গ্রামের শফিকুলকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মাধবপুর উপজেলার রামপুর গ্রামের আশিককে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রথীন্দ্র চন্দ্র দেব জানান, ডেঙ্গুতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ঠিকমতো চিকিৎসা গ্রহণ করালে রোগী সুস্থ হয়। তবে এ বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানি, ফুলের টবে জমে থাকা পানি বা ড্রাম এবং পানির ট্যাংক পরিষ্কার রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

ডা. রথীন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। তবে শিগগিরই তা চলে আসবে। আর যারা এখনও পর্যন্ত হবিগঞ্জে চিকিৎসা নিয়েছেন তারা কেউই জেলায় আক্রান্ত হননি। তারা প্রত্যেকেই ঢাকায় গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement