প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ধ্বংস দেখেছি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ দেখেছি। এখন এত মিডিয়া, এত সাংবাদিক, আমার এই কথাটি সরকারের কানে পৌঁছে দেন- বেগম খালেদা জিয়া অবহেলার পাত্রী নন। সারা বিশ্ব দেখছে, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তার অসুস্থতা নিয়ে সবাই কথা বলছে। সরকারপ্রধান আপনি হাজার বছর বাঁচেন। দয়া করে আমার নেত্রীকে বাঁচতে দেন। আমার নেত্রীকে জামিন দেন।
Advertisement
তিনি বলেন, সময় বেশি দূরে না। সময় খুব কাছে। বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়ে আমরা রাস্তায় নামবো। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাস্তায় রাস্তায় জনগণের ঢল নামবে। সেদিন আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
ঈদের আগে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শুক্রবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে ‘চেতনা বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন।
ফারুক বলেন, বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলে বিএনপির জনসমর্থন ব্যাপক হারে বেড়েছে। আমি গ্রাম অঞ্চলের মানুষ, সব সময় গ্রামে থাকি। বিএনপি তো অনেক সময় ধরে ক্ষমতায় নেই। তাদের ওপর নির্যাতনের শেষ নেই। তারপরও কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে না। এ থেকে বোঝা যায়, গ্রাম অঞ্চলের মানুষও আওয়ামী লীগ সরকারকে পছন্দ করেন না।
Advertisement
তিনি বলেন, এ দেশে সংসদ আছে, সংসদে বিরোধী দল নেই। এ দেশে বিচার হচ্ছে, বিচারক আছে, কিন্তু ন্যায়বিচার নেই।
‘সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই। আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেলে। আমাদের অবজ্ঞা করে কথা বলবেন না। বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলা বাদ দেন। এত অবহেলা কেন করছেন? আপনারা তো একুশ বছর পরে ক্ষমতায় এসেছেন। ২১ বছর আগেও তো আপনাদের হাতে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে’,- বলেন তিনি।
চেতনা বাংলাদেশের সভাপতি শামীম রহমানের সভাপতিত্বে ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন-অর-রশিদ, কৃষক দলের সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
কেএইচ/জেডএ/পিআর
Advertisement