ইসলামি শরিআ`তে হালাল ও হারাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পৃথিবীর সব আসমানি গ্রন্থেই হালাল-হারামের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে। হালাল-হারামের বিষয়গুলো নির্ধারিত করার ইখতিয়ার শুধুমাত্র আল্লাহর বিধায় বাস্তবজীবনে হালাল কাজ করা আর হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকার নামই হচ্ছে ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল-হারামের পরিচয় ও বিধান জাগো নিউজে তুলে ধরা হলো-হালাল-হারামের পরিচয়ক. হালাল : কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে যে সব বিষয়কে বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, ইসলামি শরিআ`তের পরিভাষায় তা হালাল বা বৈধ। একজন মুসলিমের উচিত সর্বদা হালাল বা বৈধ পদ্ধতি অবলম্বন করা। যেমন- আল্লাহ তাআলা ব্যবসাকে হালাল করেছেন।খ. হারাম : কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে যে সব বিষয়কে অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে, ইসলামি শরিআ`তের পরিভাষায় তা হারাম বা অবৈধ। হারাম কাজ করলে আল্লাহর শাস্তি নির্ধারিত বিধায় এ ধরনের কাজ বর্জন করাও বাধ্যতামূলক। যেমন: সুদ খাওয়া, গীবত করা বা অপবিত্র কিছু খাওয়া ইসলামে হারাম।হালাল ও হারাম বিধানের উদ্দেশ্য-বিশ্বমানবতার কল্যাণ সাধন এবং অকল্যাণ ও ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। হালাল বিধান পালনেই বান্দার জন্য রয়েছে- আত্মার কল্যাণ, দেহের কল্যাণ এবং বিবেক-বুদ্ধির সুস্থতা। যা দ্বীন-ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এতে আল্লাহ বান্দার প্রতি নাজিল করেন রহমত ও বরকত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি হারাম কাজ করে তার অন্তর-আত্মা নষ্ট হয়ে যায়, দেহের ক্ষতি হয় এবং বিবেক বুদ্ধি লোপ পায়। যা নির্বুদ্ধিতার পরিচয় বহন করে। এক কথায় তাকে গোনাহগার বানিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য সব ধরনের কঠোরতা তুলে নিয়ে ইসলামের হালাল ও হারামের বিধান মানুষকে অশান্তির শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ থেকে নিষ্কৃতি দান করেছেন। হালাল-হারামের বিধান নির্ধারণে আল্লাহ বলেন-الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الرَّسُولَ النَّبِيَّ الأُمِّيَّ الَّذِي يَجِدُونَهُ مَكْتُوبًا عِندَهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَالإِنْجِيلِ يَأْمُرُهُم بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَاهُمْ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُحِلُّ لَهُمُ الطَّيِّبَاتِ وَيُحَرِّمُ عَلَيْهِمُ الْخَبَآئِثَ وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالأَغْلاَلَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ فَالَّذِينَ آمَنُواْ بِهِ وَعَزَّرُوهُ وَنَصَرُوهُ وَاتَّبَعُواْ النُّورَ الَّذِيَ أُنزِلَ مَعَهُ أُوْلَـئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ অর্থাৎ `সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মি নবি, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়, তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন সৎকর্মের, বারণ করেন অসৎকর্ম থেকে; তাদের জন্য যাবতীয় পবিত্র বস্তু হালাল ঘোষণা করেন ও নিষিদ্ধ করেন হারাম বস্তুসমূহ এবং তাদের উপর থেকে সে বোঝা নামিয়ে দেন এবং বন্দীত্ব অপসারণ করেন যা তাদের উপর বিদ্যমান ছিল। সুতরাং যেসব লোক তাঁর উপর ঈমান এনেছে, তাঁর সাহচর্য অবলম্বন করেছে, তাঁকে সাহায্য করেছে এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে। (সূরা আ`রাফ : আয়াত ১৫৭)পরিশেষে...আল্লাহর দরবারে প্রার্থণা তিনি যেন তাঁর বান্দাদের হালাল ও হারামের পরিচয় লাভ করার পর এর বিধান পালনের তাওফিক দান করেন। আমলি জিন্দেগি যাপন করার তাওফিক দান করেন এবং পরকালে মুক্তি দান করেন। আমিন।জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/পিআর
Advertisement