গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। দু'টি প্রজেক্টাইল মিসাইল উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো হয়তো নতুন ধরনের স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র।
Advertisement
শুক্রবার পূর্ব উপকূলে ওই ক্ষেপণাস্ত্র দু'টি উৎক্ষেপণ করা হয়। এর আগে গত বুধবার পূর্ব উপকূলে আরও দুটি স্বল্প মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া।
বুধবার সকালে ওনসান এলাকা থেকে ওই ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। গত জুনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের মধ্যে সাক্ষাতের পর গত সপ্তাহেই প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া।
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের এই ঘটনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য ‘গুরুতর সতর্কতা’ বলে উল্লেখ করেছে উত্তর কোরিয়া। ওয়াশিংটনের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
আগামী মাসেই ওই সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৫টা ৬ মিনিট এবং ৫টা ২৭ মিনিটে ওই ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়। ওনসান বন্দরের কাছাকাছি কালমা এলাকা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র দুটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তর কোরিয়াকে অর্থপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং জার্মানি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ওই আহ্বান জানানো হয়। নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে দেশগুলো জানিয়েছে, পিয়ংইয়ং তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ না করলে তাদের ওপর জোরপূর্বক আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ২৩ মিনিটে ওই প্রজেক্টাইল মিসাইল দু'টি উৎক্ষেপণ করা হয়। দক্ষিণ হ্যামগিয়ন প্রদেশের ইয়ংঘুন এলাকা থেকে জাপান সাগরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র দু'টি উৎক্ষেপণ করা হয়। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।
টিটিএন/এমএস
Advertisement