>> টানা তিন বছর লোকসান দিলে বেসিক ব্যাংকের শাখা বন্ধ>> বর্তমানে ব্যাংকটির প্রায় ৩৬টি শাখা লোকসানে>> বেসিক ব্যাংকে স্পেশাল অডিট হবে>> অনিয়ম-দুর্নীতিতে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা>> যারা বেনামে ঋণ নিয়েছে তাদের ছাড় দেয়া হবে না
Advertisement
দুর্দশায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের সম্মাননা ক্রেস্ট গ্রহণ করলেন না অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
রাজধানীর মতিঝিলে বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এ সম্মাননা ক্রেস্ট না নেয়ার কথা জানান অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে সম্মানসূচক ক্রেস্ট দিতে চাইলে; তা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন ক্রেস্ট নেব না। এক বছরে যদি বেসিক ব্যাংক ভালো করতে পারে তাহলে ক্রেস্ট নেব। আপনারা ভালো করেন আগামীতে আপনাদের সঙ্গে আমরা পিকনিক করব।’
Advertisement
এ সময় অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি অনুষ্ঠানে থাকা অন্য অতিথিরাও ক্রেস্ট গ্রহণে অস্বীকৃতি জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মাজিদ এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. রফিকুল আলম। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব ফজলুল হক।
বেসিক ব্যাংককে আল্টিমেটাম দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই বছর বেসিক ব্যাংকের যেসব শাখা লোকসান দিয়েছে এ বছরও যদি তারা লোকসান দেয়, তাহলে ওইসব শাখা বন্ধ করে দেয়া হবে। বর্তমানে ব্যাংকটির প্রায় ৩৬টি শাখা লোকসানে আছে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘যারা বেনামে ঋণ নিয়েছে টাকা ফেরত না দেয়ার জন্য, তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের পেছনে আমরা এজেন্সির লোক নিয়োগ দেব। দেশ-বিদেশে যেখানেই থাকুক তাদের বের করা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা ঋণ আদায় সহজ করে দেব কিন্তু ঋণ মাফ করতে পারব না।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকে স্পেশাল অডিট করা হবে। অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কম হলেও শাস্তি দেয়া হবে।’
অনুষ্ঠানে অনিয়ম-দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় নাজুক অবস্থায় পড়া শতভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন বক্তারা। এ সময় লোকসানে থাকা ব্যাংকটি লাভজনক অবস্থায় না এলে বিভিন্ন শাস্তির পাশাপাশি কর্মী ছাঁটাইয়ের হুমকি দেয়া হয়।
এসআই/এনডিএস/এমকেএইচ