কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ভারত থেকে গরু পাচারের হিড়িক পড়ে। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে গরু আনার সময় ভারতীয় অংশে লেনদেনকে টার্গেট করেছে জাল রুপি তৈরির একটি চক্র। পাশাপাশি গরুর হাটকেও টার্গেট করা হয়েছে।
Advertisement
একটি সংঘবদ্ধ চক্র ভারতীয় অংশে লেনদেনকে টার্গেট করে জাল রুপি তৈরি করছে দেশেই। অপরচক্র দেশের অভ্যন্তরে জাল মুদ্রা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় জাল রুপি ও টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ সাত জনকে আটকের পর এ তথ্য জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
যাত্রাবাড়ির মাতুয়াইল এলাকা থেকে ২৬ লাখ জাল রুপির নোট ও রুপি তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করেছে ডিবি উত্তর বিভাগ।
Advertisement
আটকরা হলেন, লিয়াকত হোসেন অরফে জাকির, শান্তা আক্তার ও মমতাজ বেগম। এ সময় তাদের কাছ থেকে জাল রুপি তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ, একটি কালার প্রিন্টার, লেমিনেশন মেশিন, জাল রুপি তৈরির বিপুল পরিমাণ কাগজ, বিভিন্ন কালারের কার্টিজ, সিকিউরিটি সিলসহ স্ক্রিন বোর্ড, গাম ও ফয়েল পেপার জব্দ করা হয়েছে।
ডিবি পূর্ব বিভাগের আরেকটি টিম ফকিরাপুল এলাকা থেকে ৫০ লাখ জাল টাকাসহ মো. লাল মিয়া ও শহিদুল ইসলাম নামে দুই জনকে আটক করেছে। ডিবি পশ্চিম বিভাগের একটি টিম সবুজবাগ এলাকা থেকে আবিদা সুলতানা ও আল আমিন নামে আরও দুজনকে আটক করেছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন বলেন, কোরবানীর ঈদে ভারত থেকে গরু আনার হিড়িক পড়ে। এ সুযোগে ভারতীয় অংশে লেনদেনের টার্গেট করছিল জাল রুপি তৈরির চক্রটি। সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী জাল রুপি সরবরাহ করে আসছিল তারা। আরেকটি জাল রুপি চক্র ভারতীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে। তাদের কাছে জাল রুপিগুলো বিভিন্ন দামে পাচার করতো এ চক্রটি।
জাল টাকা তৈরির চক্রটির টার্গেট ছিলো গরুর হাট। বিপুল অর্থের লেনদেনের সুযোগে জাল টাকা ছড়িয়ে দেয়ার টার্গেট করেছিল চক্রটি। জাল টাকা ও রুপির বিরুদ্ধে ডিবির এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
জেইউ/এএইচ/পিআর