ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের জন্য ইউরোপকে এবার ৬০ দিনের যে সময় দেয়া হয়েছে সেটা পাশ্চাত্যের জন্য সর্বশেষ সুযোগ। ইরান এখনো পরমাণু সমঝোতার পূর্ণ বাস্তবায়ন চায় বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন। খবর পার্স ট্যুডে।
Advertisement
বুধবার তেহরানে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী দেশগুলো যদি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করতে চায় তাহলে তারা নিজেরা একদিন যে সমঝোতাটিতে স্বাক্ষর করেছে এবং যেটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে সেটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
মার্কিন সরকার ২০১৮ সালের মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ফ্রান্সসহ ইউরোপীয় দেশগুলো এতে অটল থাকার ঘোষণা দেয়। এসব দেশ ইরানকে পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানোর পাশাপাশি এ সমঝোতায় ইরানকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা হবে বলে প্রত্যয় ঘোষণা করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ইউরোপীয় দেশগুলো ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করে দেয়ার লক্ষ্যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
ইউরোপের এই দ্বৈত ভূমিকার প্রতিবাদে গত ৮ মে ইরান ঘোষণা করে, পরমাণু সমঝোতার ২৬ ও ৩৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কিছু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখবে তেহরান। ইরানের পক্ষ থেকে ৬০ দিনের সময়সীমা বেধে দিয়ে আরো বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে ইউরোপ ইরানের তেল রপ্তানি ও ব্যাংকিং লেনদেন স্বাভাবিক করতে না পারলে তেহরান পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
Advertisement
এ অবস্থায় ইউরোপের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে গত ৭ জুলাই ওই ৬০ দিনের সময়সীমা শেষ হয়। ইরান তার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৭ জুলাই থেকে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশের চেয়ে বেশি মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কাজ শুরু করে যদিও পরমাণু সমঝোতায় ইরানের জন্য সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৬৭ মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল।
টিটিএন/এমকেএইচ