দেশজুড়ে

আঁখ চাষে সোনালী দিনের সন্ধান

আঁখ চাষ করে দারিদ্রতার অন্ধকারে নিমজ্জিত সংসার সোনার আলোয় ভরিয়ে তুলছেন এক গৃহবধূ। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নিভৃত পল্লী বকশির ঘটিচোরা (সবুজনগর) গ্রামের সোনাবরু বেগম। আখ চাষ করে অভাবের পরিবারে এনেছেন স্বচ্ছলতা। সোনালী স্বপ্নে বিভোর সোনাবরু এখন শুধু সামনে এগিয়ে যেতে চান।২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের প্রচণ্ড আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় গোটা উপকূলীয় এলাকা। সবুজনগর গ্রামের সোনাবরু বেগমের স্বামী মো. জুলমত খানের কৃষি ক্ষেতটির ফসলও মাটিতে মিশিয়ে দেয় সিডর। সংসারের আয়ের উৎস একমাত্র কৃষি ক্ষেতটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাদের সংসারে নেমে আসে অনিশ্চয়তার ছায়া। সোনাবরু বেগম এবং তার স্বামী মো. জুলমত খান কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তখন আশার আলো নিয়ে তাদের পাশে সে দাঁড়ায় ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের আইডিবিআইবিএফ ফায়েল খায়ের অ্যাগ্রো ইনপুটস প্রোগ্রাম। ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উল্লেখিত প্রোগ্রাম থেকে গাভী পালনের জন্য বিনা লাভে ১৫ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে নতুন জীবন গড়ার সংগ্রাম শুরু করেন সোনাবরু। এরপর তিনি দ্বিতীয় বার ২০ হাজার টাকা নিয়ে আখ চাষ শুরু করেন। আখ চাষ করে ভালো লাভ পেয়ে ২০১৪ সালে আবার ২৬ হাজার টাকা কর্জ নিয়ে বেশি জমি নিয়ে আখ চাষ করেছেন তিনি। আর কিছুদিন পর তার আখ বাজারে আসবে। সোনাবরু আখ চাষ করে এ পর্যন্ত ৬৯ হাজার টাকা লাভ করেছেন। চলতি বছর আখ চাষের জন্য আবার ৩০ হাজার টাকা কর্জ নিয়েছেন। আখ চাষ করতে তাকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, প্রোগ্রাম অফিসার মো. আলী আজীম এবং ইউনিট ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ।    সোনাবরু জাগো নিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় সিডর তাদের সব কিছু কেড়ে নেয়ার পর পরিবার নিয়ে তারা যখন কোনো অবলম্বন খুঁজে পাচ্ছিলেন না তখন ঋণ নিয়ে আখ চাষ করে তাদের পরিবারের স্বচ্ছলতা আনেন।প্রোগ্রাম অফিসার মো. আলী আজীম জাগো নিউজকে জানান, সোনাবরু কঠোর পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করায় তিনি স্বাবলম্বি হয়েছেন। হাসান মামুন/এমজেড/আরআইপি

Advertisement