নড়াইলের গৃহবধূ লাকী বিশ্বাস (২৫) ৩ মাস ধরে নিখোঁজ। জেলার মুলিয়া ইউনিয়নের ক্রোড়গ্রামে বোনের বাড়ি। সেখানে যাওয়ার কথা বলে চলতি বছরের ১৮ মে বেলা ১১টার দিকে জেলার রূপগঞ্জের ভাড়া বাসা থেকে বের হন। এরপর থেকে তার কোনো সন্ধান নেই। এ বিষয়ে তার স্বামী থানায় জিডি করলেও কোনো খবর মেলেনি।
Advertisement
নিখোঁজের স্বামী বিদ্যুৎ বিশ্বাস জানান, ২০০৮ সালের এপ্রিলে পারিবারিকভাবে লাকীকে বিয়ে করেন তিনি। এর দেড়বছর পর একমাত্র সন্তান মেয়ে ব্রতি বিশ্বাসের (তৃনার) জন্ম হয়। বর্তমানে মেয়ের বয়স ৯ বছর, সে মাসিমদিয়া দক্ষিণ-পূর্ব মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
লাকীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালই ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার গ্রামের বাড়ি নড়াইল সদরের বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কামাল প্রতাপে। শুধুমাত্র মেয়ে তৃণার লেখাপড়ার কথা চিন্তা করে প্রথমে লোহাগড়া ও পরে রূপগজ্ঞে বাসা ভাড়া করে থাকতাম।‘
তিনি আরও জানান, ‘নিখোঁজের দিন মুলিয়ার পাশে ক্রোড়গ্রামে মেঝবোন মেঘনার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাসা থেকে বের হয় লাকী। যাওয়ার পরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পেলে মেঘনা দিদির নম্বরে যোগাযোগ করে তার ফোনও বন্ধ পাই। পরেরদিন ক্রোড়গ্রামে মেঘনা দিদির বাড়িতে যেয়ে জানতে পারি লাকী ওই বাড়িতে যায়নি। তখন সব আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বিষয়টা জানিয়ে ও কোনো সন্ধান না পাইনি।’
Advertisement
বিদ্যুৎ বিশ্বাস বলেন, ‘এরপর গত ২১ মে নড়াইল সদর থানায় ওহিদ দারোগার মাধ্যমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। এজন্য ওহিদ দারোগা ৩ হাজার টাকা নেন। কিন্তু আমাকে জিডির কোনো কপি না দিয়ে বলেন, আমরা তদন্ত না করে কোনো কপি দেব না। এভাবে প্রায় ১ মাস কেটে যাবার পর গত ১৭ জুন ওই দারোগা থানায় জিডি হয়েছে (জিডি নং-৬৭৩, তারিখ- ১৭.০৬.১৯) এই মর্মে একটি কপি দেন।’
এ অবস্থায় কোনো সহৃদয় ব্যাক্তি লাকীর সন্ধান পেলে ০১৭৩১৪০০৬৮৪ এই মোবাইল নম্বরে জানানোর অনুরোধ করেছেন বিদ্যুৎ বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে সদর থানার এস আই ওহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অনেক চেষ্টা করেও কোনো সন্ধান করতে পারেনি।
হাফিজুল নিলু/এমএমজেড/জেআইএম
Advertisement