৫ বলে ০, ৩১ বলে ১৯ এবং ৬ বলে ২- সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে আসা ইনিংসের তালিকা। অধিনায়ক তিন ম্যাচে মাত্র ৮.৩৩ গড়ে তামিম করেছেন ২৫ রান। তার ব্যাটিংয়ের এ চিত্র যেনো পুরো বাংলাদেশ দলেরই প্রতিচ্ছবি।
Advertisement
শুধু তামিম নন, ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিতে পারেননি বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান। প্রথম দুই ম্যাচে একাই লড়াই করেছন মুশফিকুর রহীম। বাকিদের ব্যাট হাসেনি, হয়নি কোনো বড় সংগ্রহ। যে কারণে তিন ম্যাচের একটিতেও ২৫০ রান করা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে।
তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক তামিমের কণ্ঠে তাই, দায়িত্ব নিতে না পারার হতাশা। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, এতদিন ধরে ক্রিকেট খেলেও দায়িত্ব নিতে পারায় তিনি হতাশ। একই মনোভাব পুরো দলের।
বুধবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তামিম বলেন, ‘আমি প্রথম দিন থেকেই বলে আসছি দায়িত্বজ্ঞানই আসল। আমি ১২ বছর ক্রিকেট খেলেছি, বাকিরাও লম্বা সময় খেলে ফেলছে। কিন্তু যখন প্রয়োজন পড়ছে, তখন দায়িত্ব নিতে পারছি না। এটা হতাশার। আমাদের চিন্তা করতে হবে এবং ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে।’
Advertisement
এসময় নিজের ব্যর্থতার ব্যাপারে বাঁহাতি এ ওপেনার বলেন, ‘বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আমি নিজেকে বারবার তলানিতে নিয়ে গেছি। ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি চেষ্টা করছি না। আমি নিজের সেরাটা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। হয়তো এটা যথেষ্ট নয়। দুর্বলতাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে এবং নিজের সেরাটা খেলার প্রস্তুতি নিতে হবে।’
তিন ম্যাচে দলের প্রায় সবাই হতাশ করলেও, শেষ দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে খারাপ করেননি বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৩৫ রান, পরেরটায় ৩৪। এছাড়া ব্যাট হাতে শেষ ম্যাচে খেলেছেন ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৩৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
তাইজুলের এমন পারফরম্যান্সকে সিরিজের একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসেবে উল্লেখ করে তামিম বলেন, ‘তাইজুলের পারফরম্যান্স সত্যিই ইতিবাচক একটা বিষয়। শেষ দুই ম্যাচে সে যেভাবে বোলিং করেছে, আমাদের ঠিক এমন কিছুরই প্রয়োজন ছিলো। এছাড়া বাকিসবই ছিলো নেতিবাচক।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement