আন্তর্জাতিক

ডেলিভারি বয় মুসলিম বলে খাবার ফেরত

খাবার আসবে কখন? রেস্তোরাঁয় অর্ডার দেওয়ার পর সচরাচর মনে এই প্রশ্ন সবার আগে আসে। কিন্তু ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের বাসিন্দা অমিত শুক্লের মনে প্রশ্ন জেগেছিল, খাবার যিনি আনবেন সেই ডেলিভারি বয়ের ধর্ম কী?

Advertisement

অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থা জোম্যাটোতে বুধবার সন্ধ্যায় খাবারের অর্ডার দিয়েছিলেন অমিত। এরপর তিনি ওই অ্যাপে দেখেন, তার খাবার নিয়ে আসছেন ফৈয়াজ নামের এক মুসলিম যুবক। তিনি ‘ডেলিভারি বয়’ পাল্টে দেওয়ার অনুরোধ জানান জোম্যাটোর কাছে। কিন্তু তার অনুরোধ রাখেনি জোম্যাটো। উল্টো এক টুইট করে তাকে জানানো হয়েছে, ‘খাবারের কোনও ধর্ম হয় না। খাবার নিজেই একটি ধর্ম। জোম্যাটো কর্তৃপক্ষের এই অবস্থান বাহবা কুড়িয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

তবে অমিত জানিয়েছেন, জোম্যাটো টাকা ফেরত না দেওয়া সত্ত্বেও অর্ডার বাতিল করে দিয়েছেন তিনি। অ্যাপটিও মুছে ফেলেছেন। যদিও তাতে কান না দিয়ে খোদ জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দ্র গয়াল এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ভারতের বৈচিত্রের আদর্শে আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থী কিছু করার বদলে ব্যবসায়িক ক্ষতি হলেও দুঃখ নেই।’

দীপিন্দ্রর এই টুইটেরও ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা লিখেছেন ‘শ্রদ্ধা রইল। এই সংস্থাকে ভালবাসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।’

Advertisement

অপরদিকে অমিতের টুইটের ভাষা দেখে অনেকেই বলছেন, বিষয়টি উদ্বেগের। দেশে ক্রমশ বাড়ছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা। গতকাল অমিত প্রথমে লেখেন, জোম্যাটো আমার খাবার আনতে দিয়েছে এক অ-হিন্দু রাইডার (ডেলিভারি বয়)-কে। ওরা বলেছে, অন্য লোক দেওয়া যাবে না, অর্ডার বাতিল করলেও টাকা ফেরত দিতে পারবে না। আমি ওদের বলেছি, আমি যে খাবার নিতে চাই না, তা নিতে আমাকে আপনারা জোর করতে পারেন না। কাজেই বাতিল করে দিন।’

টিটিএন/জেআইএম