ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গত রোববার থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে ডিলারদের মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও ডাল বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তবে বাজার দরের চেয়ে দাম বেশি হওয়ায় ঝালকাঠির ডিলাররা এবার টিসিবির পণ্য তোলেননি।
Advertisement
ডিলারদের অভিযোগ বাজার দরের চেয়ে টিসিবি পণ্যের দর বেশি থাকায় তারা কেউই টাকা জমা দেননি।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে টিসিবির পণ্য বিক্রির প্রচারণা চালানোয় সাধারণ লোকজন সোমবার স্থানীয় ডিলারদের কাছে যান। কিন্তু ডিলাররা পণ্য না উঠানোয় তাদের হতাশ হয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার টিসিবি ছোলাবুট, চিনি, মুসুর ডাল ও তেল দিচ্ছে। ঝালকাঠিতে ১০ জন টিসিবি ডিলার থাকলেও কেউই এবার এসব মালামাল তোলেননি।
Advertisement
এ বিষয়ে ঝালকাঠির মনোজ স্টোর, সুমন স্টোরসহ একাধিক টিসিবি ডিলার জানান, বাজারে ছোলাবুট প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও টিসিবির দর ৫০ টাকা। বাইরে প্রতি কেজি সাদা চিনি ৫০ টাকা বিক্রি হলেও টিসিবির লাল ভেজা চিনির দর ৫৫ টাকা। এছাড়া ভাল কোম্পানির ৫ লিটারের ভোজ্য তেলের বোতল খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা। অথচ একই মাপের পুষ্টি কোম্পানির টিসিবি তেলের দাম ৪৫০ টাকা।
তারা আরও জানান, এবার ঝালকাঠির ডিলাররা আগে টাকা জমা না দেয়ায় রক্ষা পেয়েছেন। যারা আগেই টাকা জমা দিয়েছেন তারাই ঝামেলায় পড়েছেন। বাজার দরের চেয়ে কমপক্ষে ৫/৭ টাকা কম না হলে সাধারণ মানুষ টিসিবির মালামাল কিনতে চায় না।
টিসিবি ডিলারের কাছে পণ্য নিতে আসা পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কৃষক জয়নাল মিয়া জানান, সরকার টেলিভিশনে কম মূল্যে রোববার অইতে (থেকে) ডাইল (ডাল), ছোলা বিক্রির ঘোষণা দিলেও আমরা তা পাই না। নদী পার হইয়া এতদূর আইয়া হয়রানি ছাড়া আর কিছুই হয় না।
জয়নালের মত অনেক গরিব-অসহায় কৃষক ডিলারদের কাছে এসে টিসিবির পণ্য না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
Advertisement
এ প্রসঙ্গে টিসিবির বরিশাল অফিস প্রধান হাওলাদার মো. মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আসলে বাজারের চেয়ে টিসিবি পণ্যের মান ভাল হওয়ায় দাম একটু বেশি। তবে বরিশালে কয়েকটি পয়েন্টে টিসিবির পণ্য ভালই চলছে। ঝালকাঠির ডিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু তারা আসছেন না। তাই তাদেরকে মালামাল দিতে পারছি না।
মো. আতিকুর রহমান/এমএমজেড/জেআইএম