জাতীয়

ডেঙ্গু পরীক্ষায় প্রতারণা : ইবনে সিনার বিরুদ্ধে ভোক্তায় মামলা

ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণা করায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মামলা করেছেন এক আইনজীবী।

Advertisement

বুধবার ঢাকা বারের আইনজীবী রমজান আলী সরদার মামলাটি দায়ের করেন। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সুনির্দিষ্ট সেবা না পেয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার আইনের ৫২ ও ৫৩ ধারায় ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।

অভিযোগে তিনি বলেন, গত ২৫ জুলাই কোর্টের কাজ শেষে চেম্বারে অবস্থানকালীন শরীরে জ্বর অনুভব করি। পরে সহকর্মী অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ সুমনকে নিয়ে জ্বর পরীক্ষা করতে ধানমন্ডি ইবনে সিনা হাসপাতালে যাই। আউটডোরে পরামর্শ করা হলে তারা ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা বিবেচনা করে ডেঙ্গু এনএসআই এজ এবং সিবিসি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। নির্ধারিত ফি দিয়ে রক্তের নমুনা প্রদান করা হলে তারা পরের দিন রিপোর্ট সংগ্রহ করতে বলেন।

রমজান আলী সরদার বলেন, পরের দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে রিপোর্ট সংগ্রহ করে দেখতে পাই রক্তের প্লাটিলেট লেভেল সাত লাখ ৮৪ হাজার সিএমএম। রিপোর্ট দেখে আমি আতঙ্কিত ও বিমর্ষ হয়ে পড়লে সহকর্মী জাফর আমাকে সান্ত্বনা দেন এবং অন্য আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই পরীক্ষা করার প্রস্তাব দেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রক্তের প্লাটিলেট লেভেল পরীক্ষার ফি জমা দিয়ে রক্তের নমুনা দেই। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রিপোর্ট দিলে দেখা যায় রক্তের প্লাটিলেট লেভেল দুই লাখ। যা সুস্থ এবং স্বাভাবিক মানুষের শরীরে বিদ্যমান।

Advertisement

আইনজীবী আরও বলেন, এতে প্রমাণিত হয় ইবনে সিনা অবৈধভাবে লাভবান হবার উদ্দেশ্যে একজন সুস্থ মানুষকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য মিথ্যা এবং ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে। রিপোর্টের ভিত্তিতে যদি আমি হাসপাতালে ভর্তি হতাম এবং ওষুধ সেবন করতাম তাহলে মারাত্মক সংক্রামক রোগ কিংবা মৃত্যুর কলে পতিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা ছিল। তাদের এ-রূপ অবৈধ কার্যক্রমের প্রতিকার চাই।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) একই অভিযোগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আইনজীবী রমজান আলী সরদার। আদালত মামলাটি ধানমন্ডি থানার ওসিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

আসামিরা হলেন- ইবনে সিনা হাসপাতালের (ধানমন্ডি শাখা) চেয়ারমান, ইবনে সিনা গ্রুপের চেয়ারমান, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ইমেজিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কনসালট্যান্ট (হেমাটোলজিস্ট) প্রফেসর কর্নেল (অব.) মো. মনিরুজ্জামান।

জেএ/বিএ

Advertisement