লক্ষ্মীপুরে ডেঙ্গু ভীতি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হচ্ছে। গত সাতদিনে জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে ৩২ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।
Advertisement
এ নিয়ে সদর হাসপাতালে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৫০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, ডেঙ্গু ভীতি এড়াতে বুধবার দিনব্যাপী লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উদ্যোগে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে। গত তিনদিন ধরে লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের ডোবা ও ড্রেনগুলোতে মশা নিধন স্প্রে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বুধবার লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ ও কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সচেতনতামূলক দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়।
Advertisement
বুধবার সকালে উত্তর কেরোয়া গ্রামের হারুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তার ছেলে নাহিদকে (১১) নিয়ে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। আর আগে আগেরদিন তার পরিবারের আরও দুই সদস্য ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদেরকে ঢাকায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লক্ষ্মীপুর শহরের সেইফ ডায়াগনস্টিক ও হিয়ারিং সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুল হাসান রাজু বলেন, লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দরা ডেঙ্গু নিয়ে চরম আতঙ্কিত। প্রতিদিনই জ্বর পরীক্ষার জন্য লোকজন প্যাথলজিতে আসছেন। গত দুইদিনে শিশুসহ ১৯ জন নারী-পুরুষ ডেঙ্গু আছে কিনা পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে কয়েকজনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে।
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান উত্তম দত্ত বলেন, পৌরসভার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু নিধন স্প্রে করা হচ্ছে। পৌরবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে মাইকিং করে পরামর্শমূলক তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. আব্দুল গফ্ফার বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। আক্রান্তরা সাধারণত সরকারি হাসপাতালেই ভর্তি হয়। তারা ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে জ্বর নিয়ে লক্ষ্মীপুরে এসেছেন। জেলায় যেন এই রোগ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
কাজল কায়েস/এএম/পিআর