আইন-আদালত

খালেদার জামিন খারিজে আইনজীবীদের চিৎকার

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের পর বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা আদালতকে উদ্দেশ্য করে শেম শেম (লজ্জা) বলাসহ বিভিন্ন শব্দ ব্যবহার করে হট্টগোল শুরু করেন।

Advertisement

এ সময় বিএনপির সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের সামনের সারিতে বসা থাকলেও তাদের নিষেধ করেননি বলে অভিযোগ তুলেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট্র ‍দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হাইকোর্টে খারিজ হওয়ার পর বুধবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তোলেন তিনি।

মাহবুবে আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি খারিজের পর কোনো কোনো আইনজীবী আদালতে অভদ্রভাবে মন্তব্য ও চিৎকার করছিলেন। তখন কিন্তু বিএনপির আইনজীবী নেতারা প্রথম বেঞ্চে (আদালত কক্ষের) বসা ছিলেন। তারা কিন্তু তাদের থামাননি। কাজেই এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। সাধারণ আইনজীবীদের উচিত উত্তেজিত না হওয়া এবং আদালতের যে ক্ষমতা ও পরিবেশ তা ঠিকমতো বজায় রাখা। সিনিয়র আইনজীবীদের উচিত ছিল যারা সেখানে উচ্ছৃঙ্খলতা করেছে, তাদের নিবারণ করা। কিন্তু তাও উনারা করেননি।’

Advertisement

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘ইতোমধ্যে তিনি আরেকটি মামলায় আপিল বিভাগে আবেদন (আপিল) জানিয়েছেন। কিন্তু জামিনের বিষয়ে এখনও মুভ করেননি।’

এ মামলায় আদালত তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। উনার (খালেদা জিয়ার) পক্ষে আপিল ফাইল করে জামিন আবেদন করা হয়। আমি শুনানিতে আদালতকে বলেছি, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থেকে যদি এমন আর্থিক দুর্নীতিতে কেউ জড়ান তাহলে এটাকে হালকাভাবে দেখার কোনো উপায় নেই। তাছাড়া উনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আগের মামলাটি খুব অল্প সময়ের মধ্যে পেপার বুক তৈরি করা হয়েছিল। এবং আপিলটি শুনানিও করা হয়েছে। শুনানিতে আমরাও বেশি সময় নেইনি। শুনানির জন্যও আমরা প্রস্তুত,’ বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

Advertisement

আদালতের বরাত দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও জানান, আদালতও বলেছেন, রাষ্ট্রের এমন একটি পদে থেকে দুর্নীতি করাটা হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।

এফএইচ/এনডিএস/এমএস