জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ বৃদ্ধি কার্যক্রমে অর্থায়ন প্রকল্পের কারিগরি সহযোগিতা দেয়ার জন্য পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে জাপানের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান মিতসুবিশি রিচার্স ইনস্টিটিউট আইএনসি। এজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে দিতে হবে ৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৯ টাকা। প্রকল্পটি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হবে।
Advertisement
এ-সংক্রা্ন্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার (৩১ জুলাই) কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও উন্নত যন্ত্র ব্যবহার করে জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারি। এর ফলে জ্বালানি উৎপাদনে ব্যয় কমবে। একই সঙ্গে জ্বালানি সাশ্রয়ীও হবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য সুইটেবল একটি সিস্টেম তৈরি করা হবে।’
Advertisement
সূত্র জানায়, প্রকল্পটির উদ্দেশ্য জ্বালানি সাশ্রয় ও দক্ষতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পসুদে ঋণ দেয়ার মাধ্যমে শিল্প মালিকদেরকে আগ্রহী করে তোলা এবং এ খাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা। জাইকা এবং বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক সহায়তায় টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) কর্তৃক বাস্তবায়িত জ্বালানি দক্ষতা ও সংরক্ষণ বৃদ্ধি কার্যক্রমে অর্থায়ন প্রকল্পে কারিগরি সহযোগিতা দেয়ার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের অনুমোদনের প্রস্তাব পাঠায় স্রেডা। গত ৩০ মে বিদ্যুৎ বিভাগে পাঠানো হয়।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য জাইকা ও বাংরাদেশ সরকারের মধ্যে ২০১৬ সালের ২৯ জুন ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে জাইকার ঋণের পরিমাণ ১১ হাজার ৯৮৮ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাল ২০১৮-এর জুলাই থেকে ২০২২-এর জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত টিএপিপিতে পরামর্শক নিয়োগের ব্যবস্থা রয়েছে।
এমইউএইচ/এসআর/পিআর
Advertisement