জাতীয়

‘আ ব ম ফারুকের মেটাল-অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার সক্ষমতাই নেই’

দেশে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে ভারী ধাতু ও অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে দাবি করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাবেক শিক্ষক আ ব ম ফারুকের এ পরীক্ষা করার সক্ষমতা নেই বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।

Advertisement

বুধবার (৩১ জুলাই) সচিবালয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) পুষ্টি ইউনিটের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ ও ভারী ধাতু উপস্থিতির বিশ্লেষণ ফলাফল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন >> প্রাণ-মিল্ক ভিটাসহ পাস্তুরিত দুধে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই : বিএআরসি

গত ২৫ জুন ঢাবির ফার্মেসি অনুষদের শিক্ষকরা একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। মিল্ক ভিটাসহ সাতটি ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত (পাস্তুরিত) দুধের নমুনা পরীক্ষা করে সেগুলোতে মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছেন বলে জানান তারা।

Advertisement

সংবাদ সম্মেলনে বায়োমেডিকেল রিচার্স সেন্টারের পরিচালক ও ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, পরীক্ষায় পাস্তুরিত দুধের সাতটি নমুনার সবগুলোতেই লেভোফ্লক্সাসিন ও সিপ্রোফ্লক্সাসিন এবং ছয়টি নমুনায় এজিথ্রোমাইসিনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসজিএস-এর ভারতের চেন্নাই ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষায় পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে সংবাদ সম্মেলন ডাকে কৃষি মন্ত্রণালয়। বুধবার সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণ, মিল্ক ভিটাসহ পাস্তুরিত দুধে কোনো ভারী ধাতু, অ্যান্টিবায়োটিক, সালফা ড্রাগ পাওয়া যায়নি; তাই দেশীয়ভাবে উৎপাদিত সাতটি ব্র্যান্ডের দুধ পানে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।’

আরও পড়ুন >> প্রাণসহ ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন-বিপণনে আপাতত বাধা নেই

আ ব ম ফারুকের যে গবেষণা তা ভুল কি-না, জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (আ ব ম ফারুক) তো নিজেই স্বীকার করেছেন, দুধের মধ্যে একটাতে তিনি অ্যান্টিবায়োটিক পেয়েছেন তা মানুষের জন্য ব্যবহার হয়। তার মেটাল ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার কোনো সক্ষমতা নেই। কাজেই তার গবেষণাকে ভুল ও নির্ভুল বলার সুযোগ নেই, কারণ তার ওই পরীক্ষা করার-ই তো সক্ষমতা নেই। উনি বলবেন কোথা থেকে?’

Advertisement

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বাংলাদেশে আইসিডিডিআর’বি-র ল্যাবরেটরিতেও ভারী ধাতু, ডিটারজেন্ট ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার সুযোগ নেই। আমরা এখনও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একটা ল্যাবরেটরি করতে পারিনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা। অন্যান্য যেসব ল্যাবের কথা বলা হচ্ছে সেখানে সেই সক্ষমতা নেই।’

আ ব ম ফারুকের অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সেটা আমরা জানি না, কোনো উদ্দেশ্য আছে কি-না? উনি একজন বিজ্ঞানী মানুষ, আপনারা উনার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তথ্য নিতে পারেন।’

আরও পড়ুন >> শাহনীলা ফেরদৌস ও প্রফেসর ফারুক কি ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবেন?

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক (পুষ্টি) ড. মো. মনিরুল ইসলাম বিশ্লেষণের ফলাফল তুলে ধরেন।

আ ব ম ফারুকের গবেষণার বিষয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (ফারুক) কিন্তু গবেষণার ডাটা দিচ্ছেন না। বারবার বলছেন এটা পাওয়া গেছে। উনি বলছেন, রিপোর্ট আমি জমা দিয়েছি, জমা দিলে তার কাছে কপি থাকবে না? তার লিড ও অ্যান্টিবায়োটিক পরীক্ষার কোনো সক্ষমতাই নেই।’

আরএমএম/এমএআর/এমএস