ধর্ম

নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম রোনাজারি

দোয়া হলো স্বতন্ত্র ইবাদত। যা দ্বারা আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা যায়। তাইতো হাদিসে এসেছে  `দোয়া-ই হলো ইবাদত। (তিরমিজি) দোয়াকে বলা হয়েছে ইবাদতের সার ও মজ্জা। হাদিসের ভাষায় ‘দোয়া ইবাদতের সার।’ (আবু দাউদ)। কিভাবে দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন সম্ভব, জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-আল্লাহর দরবারে ধরনা দেয়ার রয়েছে অনেক নিয়ম। কেবলার দিকে মুখ করে দোয়া করা তার একটি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধের সময় কেবলার দিকে ফিরেই দোয়া করতেন। হাদিসে এসেছে- রাসূল সাল্লাল্লাহু আলিইহি ওয়া সাল্লাম কেবলার দিক মুখ করে দুই হাত উঠিয়ে উচ্চ আওয়াজ দিয়ে আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতেন। ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার সঙ্গে যে অঙ্গীকারাবদ্ধ, তা পূরণ করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমরা সঙ্গে যে অঙ্গীকার করেছেন তা পূরণ করুন। হে আল্লাহ! মুসলমানদের এ দল যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তবে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে আপনার ইবাদত করা হবে না।’ (মুসলিম)আল্লাহ তায়ালার দরবারে নম্রতা ও মিনতি প্রকাশের মাধ্যমে দোয়া করা। যা মিনতি প্রকাশ করেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যার প্রমাণ এ হাদিসটি- হজরত আবু মুসা আশায়রি রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দোয়ার জন্য হাত উত্তোলন করেছেন এমনকি আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বগল মোবারক দেখতে পেয়েছি।’ (বুখারি)পরিশেষে…দোয়ার পরিভাষাগুলো একাধিকবার তথা দুইবার, তিনবার করে পুনরাবৃত্তি করা। যাতে আহাজারি বা রোনাজারি প্রাকশ পায়। এ আহাজারি ও রোনাজারির মাধ্যমেই বান্দা আল্লাহর দরবারে নৈকট্য অর্জনে সক্ষম। হাদিসে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনবার দোয়া এবং তিনবার এস্তেগফার করা পছন্দ করতেন।’ (আবু দাউদ)। সুতরাং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে রোনাজারি করার তাওফিক কামনা করি। আমিন।জাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। গুরুত্বপূর্ণ দুআ ও আমল শিখুন। সুন্দর সুন্দর ইসলামি আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement