গড়নে মোটা মানুষের পেটে মেদ জমলে ততটা দুঃখ হয় না, যতটা চিকন মানুষের পেটে মেদ জমলে হয়। সারা শরীর টিঙটিঙে কিন্তু পেটের কাছে পোটলার মতো মেদ! পেটে ফ্যাট জমার স্পষ্ট কতগুলো কারণ আছে। তাই আক্ষেপ কিংবা মন খারাপ না করে নজর দিন এর কারণগুলোর দিকে।
Advertisement
ডায়েট আর এক্সারসাইজের নিয়মকানুন মেনে ওজন কমাতে আরম্ভ করলে আপনার পেটের ফ্যাটও কমবে। যারা চিকন গড়ন নিয়েও পেটে চর্বির পরত জমিয়ে ফেলেছেন, তারাও ডায়েটিং আর ব্যায়ামের মতো বিষয়গুলোকে সিরিয়াসভাবে নিন। তা না হলে সমস্যা দিন দিন বাড়বে।
ট্রান্স ফ্যাট: পেটের মেদ বৃদ্ধির একটি কারণ হলো আপনি যা খাচ্ছেন, তার মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। মানে, প্যাকেটের চিড়াভাজা, মাফিন, চিপস, বেকড খাবার- সবকিছুর মধ্যেই ট্রান্স ফ্যাট থাকে। থাকে বিস্কুট আর কুকিজেও। অতিরিক্ত প্রসেসড চিজ ইত্যাদি থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
খাবারে অতিরিক্ত চিনি: প্রতিদিন মিষ্টি না খেলেও আপনার খাদ্যতালিকায় বড়সড় সমস্যা আছে। খুঁটিয়ে দেখুন কোথায় সমস্যা। রোজ ফ্রুট জুস খেলে, ক্ষুধা পেলেই বিস্কুটের দিকে হাত বাড়ালে, মুড়ির সঙ্গে একটু চানাচুর মিশিয়ে খেলে, ব্রেকফাস্টে প্রসেসড কর্ন বা হুইট ফ্লেক্স খেলে সেসব বন্ধ করতে হবে। আপনার খাদ্যতালিকার অতিরিক্ত চিনিই সব সমস্যার কারণ।
Advertisement
যথেষ্ট প্রোটিন ও ফাইবার না থাকা: আপনি আমিষ খান বা নিরামিষ, প্রোটিনের পরিমাণে ঘাটতি হওয়ার কোনো কারণ নেই। নিরামিষভোজীরা বেশি করে ডাল, ছানা, সোয়াবিন ইত্যাদি খান। যারা আমিষ পছন্দ করেন, তারা মাছ, ডিম, চিকেনের উপর আস্থা রাখুন। প্রোটিন আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে বেশিক্ষণ, অল্পতেই ক্ষুধা পাবে না। সেইসঙ্গে বাড়াতে হবে ফল-শাকসবজি খাওয়া। তাতে যথেষ্ট ফাইবার মিলবে।
পাচনতন্ত্রে অপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি: আপনার পাচনতন্ত্রে, বিশেষ করে কোলনে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে, তার পোশাকি নাম হচ্ছে ‘গাট ফ্লোরা’ বা ‘মাইক্রোবায়োম’। পাচনতন্ত্রে উপকারি ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি না হলে পেটে মেদ জমতে পারে। খাদ্যতালিকায় প্রোবায়োটিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ও সুষম খাবার খেলে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ঘুম কম হওয়া: দিনে অন্তত ছয়-সাত ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে, তার চেয়ে কম বিশ্রাম পেলে কিন্তু পেটে মেদ জমতে বাধ্য। রোজ নির্দিষ্ট সময় ঘুমোতে যাওয়া ও ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করুন।
এইচএন/এমকেএইচ
Advertisement