আইন-আদালত

প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করতে পারবে না পুলিশ

ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করতে পারবে না পুলিশ। রিকুইজিশন করতে হবে জনস্বার্থে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

Advertisement

রিকুইজিশনের পর পুলিশের কোনো কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ডিএমপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশতাক হোসেন।

Advertisement

গাড়ি রিকুইজিশনের বিষয়ে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা

১. যে কোনো গাড়ি অবশ্যই জনস্বার্থে রিকুইজিশন করতে হবে। যদি কেউ না করে সে অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

২. রিকুইজিশন করা গাড়ি কোনো অফিসার তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩. প্রাইভেটকার, সিএনজি, ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না।

Advertisement

৪. রিকুইজিশন করা গাড়ির ব্যাপারে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।

৫. রিকুইজিশনের ব্যাপারে যে কোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

৬. রিকুইজিশন করা গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গাড়ির পেট্রল খরচ বহন করতে হবে। চালকদের খাবার খরচ দিতে হবে।

৭. ছয় মাসের মধ্যে একই গাড়ি দ্বিতীয়বার রিকুইজিশন করা যাবে না।

৮. নারী, শিশু, রোগী থাকলে সে গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না।

৯. পুলিশ কমিশনার একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব পুলিশ অফিসারের কাছে প্রেরণ করবে এবং নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩ (ক) ধারার অধীনে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট আবেদন করা হয়। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ মে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট রায় দেন।

এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ