ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশের অন্যতম ভাষা হচ্ছে চুমু। প্রিয়জনের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু, হোক তা মৃদু কিংবা গাঢ়, এই অনুভূতি অন্যকোনোভাবে বোঝানো সম্ভব নয়। এমনকী ছোটখাট মান- অভিমান দূর করতেও এর জুড়ি নেই। তবে শুধু ভালোবাসার প্রকাশ বোঝাতেই নয়, চুমুর নাকি রয়েছে আরও অনেক উপকারী দিক। মনের বোঝা নামাতে, শারীরিক কষ্ট লাঘব করতে ও হার্টের দেখভাল করতে যে চুমুর একটা ভূমিকা রয়েছে, একথা বহু আগেই বিজ্ঞান প্রমাণ দিয়েছে।
Advertisement
এবার আরেকটি উপকারী দিক সামনে আনলেন অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা। লস অ্যাঞ্জেলসের সেক্সোলজিস্ট জাইয়া কিন্সবাক-ও এই গবেষণাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার এই গবেষকদের মতে, কেবলমাত্র হার্টবিট ঠিক রাখা বা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করাই নয়, শরীরকে টোনড ও মেদহীনও রাখে চুমু!
জাইয়ার মতে, গাঢ় চুমুর বেলায় মিনিটে ৪-৬ ক্যালোরি পর্যন্ত বার্ন হতে পারে। কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ও কতক্ষণ একটানা চুমু খাচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করবে কতটা ক্যালোরি ঝরবে।
ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ইউরোপে ‘সেক্সারসাইজ’ শব্দটি এক্সারসাইজের মতোই জনপ্রিয় হয়েছে। বিভিন্ন গবেষক ও সেক্সোলজিস্টদের মতে, জিমে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা শারীরিক কসরত বা ঘড়ি ধরে জগিংয়ে যেটুকু মেদ ঝরাতে পারেন, আন্তরিক ও বাধাহীন যৌনতায় মেদ ঝরে ঠিক ততটাই। চুমু তার অন্যতম কারণ।
Advertisement
নিয়মিত চুমুতে ফিল গুড হরমোনদের ক্ষরণ নিয়মিত থাকে। ফলে, শরীর টোন্ড থাকে। অবাঞ্ছিত মেদ বা ক্যালোরি ঘাঁটি গাড়তে পারে না। বরং অনিয়মের যেটুকু মেদ, তাও গলে যায় সহজেই।
তবে শারীরিক কসরত বাদ দিয়ে কেবল চুমুতে আস্থা রাখছেন না তারা। কারণ, শারীরিক কসরত বা জগিংয়ে কেবল ক্যালোরি ঝরে তা-ই নয়, শরীরকে সক্রিয় রাখতেও কাজে আসে।
বিজ্ঞানীদের মতে, সারাদিন কাজ ও ব্যস্ততায় যে মানসিক চাপের জন্ম হয়, সেটাই নানা অসুখ ডেকে আনে। সম্পর্ককে সুন্দর রেখে যদি সঙ্গীর সঙ্গে নিভৃতে কিছুটা সময় কাটাতে পারেন, তাহলে সেসব অসুখও ঠেকিয়ে রাখা যায় অনেকটাই। সম্পর্কের উষ্ণতাও যেমন সেখানে থাকে, তেমনই দূরে থাকে উদ্বেগ।
চুমুর এমন উপকারকে ‘সুইট রিওয়ার্ড’ বলে ডাকছেন জাইয়া। তার মতে, স্মুচিং বা গভীর চুমু, সুস্থ থাকার মাপকাঠি। দিনে কতবার চুমুতে ওজন কমানোর প্রতি অনেকটা এগিয়ে থাকা যাবে? বা ক্যালোরি ঝরানোর উদ্দেশে যে চুমু, তার যে কোনো সময়সীমা নেই সেকথাও কিন্তু জানিয়েছেন গবেষকরা।
Advertisement
গবেষকদের মতে, দিনে অন্তত ৩-৪ বার চুমুতে মিলবে উপকার। শুধু তা-ই নয়, এমন ভঙ্গিমায় চুমু খেতে হবে, যাতে মুখের পেশীগুলো সক্রিয় হয়।
আনন্দবাজার/এইচএন/এমকেএইচ