আইন-আদালত

নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সেই বিচারক

নড়াইলের এনামুল হত্যা মামলার প্রধান আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ায় হাইকোর্টের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ শেখ আবদুল আহাদ।

Advertisement

একই সঙ্গে ওই মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামের জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ২০ আগস্ট রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করান।

আদালতে বিচারকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন রবিউল আলম বুদু। অন্যদিকে ছিলেন আবদুল আলীম।

Advertisement

এর আগে নিহত এনামুলের ভাই নাজমুল হুদার করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলার প্রধান আসামি মল্লিক মাঝহারুল ইসলামকে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ শেখ আব্দুল আহাদের বিচারিক ক্ষমতা কেন প্রত্যাহার করে নেয়া হবে না সেই বিষয়ে বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান। আজ নির্ধারিত দিনে বিচারকের ব্যাখ্যা শোনেন এবং আসামির জামিন বাতিলে রুল জারির এই আদেশ দেন।

এর আগে সংশ্লিষ্ট আসামি নড়াইল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকে জামিন দিয়ে দেন। নড়াইল আদালতের দেয়া এই জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আজ রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আইনজীবীরা জানান, গত ৭ জুলাইয়ের আদেশের পর বিচারক শেখ আব্দুল আহাদ লিখিতভাবে হাইকোর্টকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘উক্ত ভুলের জন্য নিঃশর্তভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। ভবিষ্যতে এরূপ ভুল না করার জন্য সতর্ক থাকব।’

Advertisement

নড়াইলের কালিয়ার চন্ডিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এনামুল নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন মল্লিক মাঝহারুল ইসলাম ওরফে মাঝাসহ ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের ভাই নাজমুল হুদা কালিয়া থানায় মামলা করেন।

ওই মামলায় চলতি বছরের ১০ জুন নড়াইলের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মামলার প্রধান আসামি মাঝার নাম বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করেন। এরপর বিচারিক আদালতের ওই আদেশ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন নিহতের পক্ষে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

এফএইচ/জেএইচ/জেআইএম