রংপুরে ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সক্ষমতা যাচাই, সরকারি নির্ধারিত ফি পাঁচশ টাকার বেশি আদায় করা হচ্ছে কি-না তা তদারকিসহ প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর ধাপ এলাকায় ৩টি রোগ নির্ণয়কারী প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় নানা অনিয়মের কারণে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি ডা. জুবায়ের হাসান উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গু রোগ নির্ণয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সক্ষমতা যাচাই, সরকারি নির্ধারিত ফি পাঁচশ টাকার বেশি আদায় করা হচ্ছে কি-না তা তদারিকসহ প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ পর্যবেক্ষণের জন্য নগরীর আপডেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবএইড এবং পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় রোগীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও যত্রতত্র ময়লা আর্বজনার স্তূপ করে রাখার দায়ে রংপুর নগরীর পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে সেবা নিতে আসা রোগীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ করেন। পরে ভোক্তা অধিকার আইনের ৫৩ ধারায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া ল্যাবএইড ভবনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাঙ্ক্ষিত না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে আপডেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উল্লিখিত কার্যক্রম যথাযথভাবে পালন করায় তা অব্যাহত রাখাতে বলা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান বলেন, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাস্টমার সার্ভিসের কর্মকর্তা ইসতিয়াকুল আসলাম আদালতের কাছে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় অল্প জরিমানা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
Advertisement
জিতু কবীর/এমবিআর/এমএস