সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের বাকি ঠিক চার মাস। আগামী ১ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় শুরু হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
Advertisement
১০ দিনব্যাপী এ গেমসে বাংলাদেশ অংশ নেবে অ্যাথলেটিকস, আরচারি, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, বক্সিং, সাইক্লিং, ফেন্সিং, গলফ, হ্যান্ডবল, জুডো, কাবাডি, কারাতে, খো খো, শ্যুটিং, স্কোয়াশ, সুইমিং, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানদো, টেনিস, ভলিবল, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, ক্রিকেট ও ফুটবল ডিসিপ্লিনে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই গেমস বাংলাদেশের জন্য অলিম্পিকের সমান। এখানে একটি স্বর্ণ পেলেই হৈচৈ শুরু হয় লাল-সবুজের দেশে। কিন্তু এই গেমসের প্রস্তুতি এখনো ঢিমেতালে। প্রকৃত প্রস্তুতি বলতে যা বুঝায় তা শুরু হয়নি এখনো।
এর মধ্যে আবার বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের ক্যাম্পে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। ইতোমধ্যে তিনজন ক্রীড়াবিদের ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়ায় আতঙ্ক বাড়ছে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনও এ সময়ের সবচেয়ে ভীতিকর রোগ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায়।
Advertisement
বাংলাদেশ যে ২৫ ডিসিপ্লিনে অংশ নেবে তার মধ্যে ২১টির অনুশীলন শুরু হয়েছে। টেবিল টেনিস ও ব্যাডমিন্টন সহসাই শুরু করবে। ফুটবল ও ক্রিকেট কবে শুরু করবে তা নিশ্চিত নয়। ২২টি ভেন্যুতে হচ্ছে ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণ। যার বেশিরভাগই রাজধানীতে। এর বাইরে গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়ও আছে আবাসিক ক্যাম্প।
ফুটবল ও ক্রিকেট বাদে বাকি ডিসিপ্লিনগুলোয় প্রাথমিকভাবে প্রশিক্ষণ শুরুর তালিকায় আছে ৭৮১ জন ক্রীড়াবিদ। এতগুলো ভেন্যু এবং এত ক্রীড়াবিদের কে কখন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তা নিয়ে ভাবনা বিওএ কর্মকর্তাদের।
ইতোমধ্যে ধানমন্ডি সুলতানা কামাল মহিলা কমপ্লেক্সে ৩ জন নারী ক্রীড়াবিদের ইতিমধ্যেই ডেঙ্গুজ্বর হয়েছে। এদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নিচ্ছেন ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে।
আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বসেছিলেন তার নেতৃত্বাধীন ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে। সেখানে ক্রীড়াবিদদের প্রস্তুতি এবং আবাসিক ক্যাম্পগুলোর খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। সেখানেই ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
Advertisement
সভা শেষে কমিটির সদস্য সচিব এ.কে সরকার বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যেকটি ক্যাম্পের জন্য মশারীর ব্যবস্থা করেছি। আমাদের মেডিক্যাল টিমকে বলেছি প্রত্যেকটা ক্যাম্পে গিয়ে সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি দেখতে। ক্রীড়াবিদ ও ক্যাম্পের কোচ-কর্মকর্তাদের সচেতন থাকার জন্যও বলেছি। আমরা ঢাকার দুই মেয়রকেও জানিয়েছি যাতে ক্যাম্পগুলোর দিকে আলাদা নজর দেয়া হয়। কয়েকজন ক্রীড়াবিদের জ্বর হওয়ায় তাদের পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিন জনের ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়েছে। বাকিদের ভাইরাস জ্বর।’
আরআই/এসএএস/এমএস