গ্রুপ সাময়িক জীবন বীমার আওতায় এলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সদস্যরা।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে ক্র্যাবের এ বিষয়ে একটি চুক্তি হয়। চুক্তিতে ক্র্যাবের পক্ষে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের সভাপতি আবুল খায়ের। সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানির কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন সোহাগ।
এই গ্রুপ সাময়িক বীমা চুক্তি অনুযায়ী ক্র্যাবের একজন সদস্য ২৬টি রোগের চিকিৎসার খরচ, শারীরিক অক্ষমতা, স্বাভাবিক ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা প্রাপ্য হবেন।
বীমা চুক্তি অনুযায়ী ক্র্যাবের একজন সদস্য শারীরিক অক্ষমতার জন্য সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাবেন। এ ছাড়া স্ট্রোক, ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক, অগ্নিদগ্ধ, কিডনি ফেইলর, অন্ধত্ব, হার্টের বাল্ব লাগানো, প্যারালাইসিসসহ মোট ২৬টি রোগে আক্রান্ত হলে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা পাবেন।
Advertisement
স্বাভাবিক মৃত্যুতে ২ লাখ ও দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে ৪ লাখ টাকা পাবেন।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, আমরা সাংবাদিকরা অন্যের কথা লিখি, অন্যের কথা বলি, অন্যের পাশে দাঁড়াই। কিন্তু সময়ের কারণে আমরা নিজেদের ব্যাপারেই উদাসীন। আমরা এমন একটা অনিশ্চিত পেশায় আছি, যখন অসুস্থ হয়ে যাই, তখন চিকিৎসার টাকাও জোগাড় করতে পারি না। তখন নানা ধরনের কল্যাণ ফান্ড খুঁজতে হয়। মানুষের কাছে টাকা-পয়সা চাইতে হয়।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জন্য এই সময়ে ক্র্যাব একটি ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আজকের এই ঐতিহাসিক চুক্তিটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। প্রতিটি সাংবাদিকের বীমা থাকা উচিত, যাতে করে দুঃসময়ে কারও কাছে হাত না পাততে হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক দীপু সারোয়ার, ক্র্যাবের সাবেক সভাপতি মধুসূদন মন্ডল, খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক গাফফার মাহমুদ, ক্র্যাবের বর্তমান সহ-সভাপতি মিজান মালিক, ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান খান, বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদ নিজামসহ ক্র্যাবের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এআর/জেডএ/এমএস