দেশজুড়ে

‘জীবন বড় না, ভিআইপি বড়?’

যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় তিন ঘণ্টা দেরিতে ফেরি ছাড়ায় মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ঘাটে অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

‘জীবন বড় না, ভিআইপি বড়? এভাবে আর কত?’- এ স্লোগানে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সরকারের একজন যুগ্ম সচিবকে নিয়ে পার হওয়ার জন্য একটি ফেরি তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু এর মধ্যে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে মাঝপদ্মায় অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় স্কুলছাত্র তিতাস। তিতাসকে বাঁচাতে তারা ফোন করেন জরুরি নম্বর ৯৯৯-এ। সাহায্য চান ঘাটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদেরও। কিন্তু কারও অনুরোধই রাখেননি ঘাট কর্তৃপক্ষ। মানুষের জীবনের চাইতে এক যুগ্ম সচিবকে পার করাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে ফেরি পারাপারের দায়িত্ব প্রাপ্তরা।

এ ঘটনার অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তারা।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ১নং ফেরিঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিল সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্র তিতাসকে বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর রাত ১১টার দিকে ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু ততক্ষণে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ওই স্কুলছাত্র।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আবদুস সবুরের জন্য ফেরি ছাড়তে দেরি হওয়ার কারণে অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় সোমবার তিনটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নিহত তিতাস ঘোষ (১২) নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পৌর এলাকার মৃত তাপস ঘোষের ছেলে। কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল তিতাস।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমবিআর/জেআইএম

Advertisement