আন্তর্জাতিক

জয় শ্রী রাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা

ভারতের উত্তরপ্রদেশের চন্দওলি জেলায় জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় এক মুসলিম কিশোরের হাত বেঁধে শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল উগ্রপন্থী হিন্দুত্ববাদীরা। রোববার ওই কিশোরকে উদ্ধারের পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে একদিন লড়াইয়ের পর মঙ্গলবার নির্মমতার আগুনের কাছে হেরে গেছেন ১৭ বছর বয়সী খালিদ নামের ওই কিশোর।

Advertisement

ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় চন্দওলিতে যে মুসলিম কিশোরের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল; সেই কিশোর খালিদ মারা গেছেন। ওই কিশোর রাজ্যের কবির চওরা হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়।

মারা যাওয়ার আগে সোমবার ভারতীয় সংস্থা আইএএনএসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই কিশোর বলেছিলেন, ‘আমি মহারাজপুরের দুধহারি সেতুতে হাঁটছিলাম। এমন সময় চারজন ব্যক্তি আমাকে তুলে নিয়ে যান। তাদের দু’জন আমার হাত বাঁধেন এবং তৃতীয়জন আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে দেন।’

আরও পড়ুন : জয় শ্রী রাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে বেঁধে আগুন

Advertisement

‘পরে তারা আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় আমাকে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে জোর করা হয়।’ তবে ধর্মীয় এই স্লোগান দিতে ওই কিশোরকে বাধ্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। চন্দওলি জেলার পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সিং বলেন, ওই কিশোর একেক জনের কাছে একেক ধরনের বক্তব্য দিয়েছে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সিসিটিভি ফুটেজের ভিডিও সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। তবে যে সেতু থেকে তাকে অপহরণ ও যেখানে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেসব স্থানের ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখতে পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন : কানাডায় একই পরিবারের ৪ বাংলাদেশির মরদেহ উদ্ধার

চন্দওলি জেলা পুলিশের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তার দাবি, প্রত্যক্ষদর্শীরা দেখেছেন ওই কিশোর নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি ভারতজুড়ে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর পিটিয়ে হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে রাজি না হওয়ায় বেশ কয়েকজন মুসলিমের ওপর হামলা হয়েছে। গত ১৮ জুন ঝারখণ্ডের সেরাইকেলা খারসাওয়ান জেলায় তাবরিজ আনসারি নামের এক মুসলিম তরুণকে মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

সূত্র : ইন্ডিয়া ট্যুডে, আএএনএস। এসআইএস/এমকেএইচ