জয়পুরহাট শহর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী রিতু পালের মরদেহ পাঁচবিবি উপজেলার ছোট যমুনা নদীর শ্মশান ঘাট এলাকায় পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
নিহত রিতু পাল শহরের সবুজ নগর এলাকার বাসিন্দা পলিকাদোয়া মাদরাসার বিএসসি শিক্ষক বিশ্বজিৎ পালের মেয়ে এবং সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, রিতু প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালের দিকে স্কুলে যায়। দুপুরের দিকে পাঁচবিবি শ্মশান ঘাট এলাকায় রিতুর স্কুল ব্যাগ পরে থাকতে দেখে স্থানীয় এক বাসিন্দা তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পাওয়া গেলে বিকেলের দিকে রিতুর বাবা সদর থানায় জিডি করেন।
এদিকে রিতুর স্কুল ব্যাগ পরে থাকা এলাকায় রিতুর পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে রাতে ছোট যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকার শ্মশান ঘাটের কাছে স্কুল ড্রেস পরিহিত অবস্থায় রিতুর ভাসমান মরদেহ ভেসে ওঠে। এ সময় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
Advertisement
সদর থানা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আখতার হোসেন জানান, রিতু অতিরিক্ত ক্লাস করার জন্য সকালে স্কুলে আসলেও মূল ধারাবাহিক ক্লাস না করেই স্কুল থেকে চলে যায়। পরে ছাত্রদের মাধ্যম তার নিখোঁজ ও রাতে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর জানতে পারি।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার সালাম কবির বলেন, ভিডিও ফুটেজে শহরে মেয়েটিকে একা একটি ভ্যানে করে যেতে দেখা গেছে। প্রাথমিক অবস্থায় ছাত্রীটির গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে জানা যাবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা। ঘটনিার সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না। রাশেদুজ্জামান/আরএআর/এমকেএইচ