ভারতের কোটিপতিদের তালিকায় ঢুকলেন ৩৭ বছর বয়সী প্রাক্তন এক স্কুল শিক্ষক। শিক্ষাবিষয়ক একটি অ্যাপ তৈরি করে গত ৭ বছরে ৬ বিলিয়ন ডলার উপার্জন করার মাধ্যমে এই তালিকায় উঠলো তার নাম। ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
Advertisement
এনডিটিভি জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে থিংক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট কোম্পানি ১৫০ মিলিয়ন ডলার উপার্জনের পর বাইজু রবীন্দ্রন নামের ওই তরুণ ভারতীয় কোটিপতিদের ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হন। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৭ বিলিয়ন ডলার চুক্তির ২১ শতাংশেরও বেশি মালিকানা রয়েছে প্রতিষ্ঠাতা বাইজু রবীন্দ্রনের।
থিংক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট নামের ওই কোম্পানি বাইজুস অ্যাপ নামে ওই শিক্ষাসংক্রান্ত অ্যাপটি তৈরি করে। জানা গেছে, ২০২০ সালের প্রথম দিকেই বিশ্বের নামকরা কোম্পানি ওয়ার্ল্ড ডিজনির সঙ্গে যৌথভাবে এই অ্যাপটিকে যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়িয়ে দেয়ার চিন্তা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন> বেয়ার গ্রিলসের সঙ্গে মোদির দুঃসাহসী অভিযান
Advertisement
উদ্যোক্তা বাইজু রবীন্দ্রন জানিয়েছেন, যেভাবে মাউস হাউসকে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয় ঠিক তেমনি ভারতীয় শিক্ষার জন্য তিনি কাজ করতে চান। এজন্য তিনি ভৌগোলিক ও সৃজনশীলভাবে বৃহত্তম পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তরুণ এই কোটিপতি আরও জানান, তার তৈরি নতুন এই অ্যাপটিতে দ্য লায়ন কিংসের সিম্বা থেকে ফ্রোজেনের আনাকে যোগ করবে। যারা শিক্ষার্থীদের গণিত এবং ইংরেজি শেখাবে। ওই চরিত্রগুলোকে অ্যানিমেটেড ভিডিও, গেমস, গল্প এবং ইন্টারেক্টিভ কুইজেও ব্যবহার করা হচ্ছে।
অ্যাপের প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রন বলেন, ‘সবসময়ই বাচ্চাদের ডিজনির সিম্বা বা মোয়ানা, পড়াশোনার ফাঁকে তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। শিশুদের এই প্রবণতাকে কাজে লাগিয়েই ওই চরিত্রগুলোর সাহায্যে তাদের পড়াশোনার প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করাতে চায় বাইজুস অ্যাপ।’
আরও পড়ুন> জয় শ্রী রাম না বলায় মুসলিম কিশোরকে বেঁধে আগুন
২০১১ সালে তিনি থিংক এন্ড লার্নিং নামের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করেন। ২০১৫ সালে সেটির মূল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেন বাইজু । তবে এই ব্যবসা শুরুর আগে তিনি অনলাইনে পড়ানোর কাজ করতেন। ব্যবসা শুরুর পর সেটি ৩৫ মিলিয়ন উপার্জন করে, যার ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন টাকা ওই অ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্ষিক ফি এর মাধ্যমে জোগাড় হয়।
Advertisement
দশ হাজার থেকে ১২ হাজার রুপি ফি দিতে হয় অ্যাপ ব্যবহারকারীদের। যার কারণে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে এটি বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন। বর্তমানে বাইজুর স্ত্রী এবং ভাইয়ের পাশাপাশি তার পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য কোম্পানির প্রায় ৩৫ শতাংশের অংশীদার।
এসএ/এমএস