ডেস্ট্রয়ারসহ সামরিক নৌবহর পাঠানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক জোটে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়া। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ওই সামরিক জোট হরমুজ প্রণালীতে তেলবাহী জাহাজের নিরাপত্তা দেয়ার কাজ করবে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সোমবার ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, হরমুজ প্রণালীতে ইরানকে ঠেকাতে বিভিন্ন দেশকে নিয়ে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা আসার পর দক্ষিণ কোরিয়া এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার দৈনিক মায়েকুং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিউল সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাতে বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা সোমালিয়ার জলসীমায় টহলরত চেওংগায়ে নামের অ্যান্টি পাইরেসি নৌবহরকে পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালীতে পাঠাবে।
তবে সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ওই অঞ্চলে চলাচলকারী দেশীয় জাহাজগুলোকে রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রসঙ্গে আলোচনা করছে সরকার কিন্তু এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র সোমবার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাঁচাই করছি।’
Advertisement
সম্প্রতি পারস্য উপসাগরের উত্তেজনা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে ওই অঞ্চলে। এ ছাড়া তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কিছু যুদ্ধবিমান মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে। এদিকে চলতি মাসে যুক্তরাজ্য ও ইরান একে অপরের ট্যাংকার আটক করলে উত্তেজনা ভিন্ন রুপ ধারণ করেছে।
ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ে গত বছর থেকে। ইরানের সঙ্গে করা ছয় পরাশক্তির পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে গত বছর নিজের দেশকে প্রত্যাহার করে নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর তিনি পুরনো অবরোধ ফিরিয়ে আনাসহ নতুন করে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
হরমুজ প্রণালীতে গত দুই মাসে ছয়টি তেলের ট্যাংকারে হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র। তেহরান এমন দাবি প্রত্যাখান করে ওয়াশিংটনকে হুমকি দিলে দুই দেশের উত্তেজনা যুদ্ধবস্থার দিকে মোড় নেয়। তারপরই সামরিক জোট গঠনে সচেষ্ট হয় ট্রাম্প প্রশাসন।
এসএ/এমএস
Advertisement