এডিস মশা ধ্বংসের জন্য ক্র্যাশ কর্মসূচি গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান তিনি।
Advertisement
ডেঙ্গু জ্বরের কবল থেকে বাঁচার জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং সতর্কতা অবলম্বন ও আল্লাহর রহমত কামনায় দোয়া করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মকবুল আহমাদ। তিনি বলেন, ‘এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গু জ্বর দেশে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতোমধ্যেই ডেঙ্গু জ্বর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৮২৪ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
মকবুল আহমাদ বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে সরকারের উচিত ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থ্য করা। সেই সঙ্গে এডিস মশা ধ্বংস করার জন্য ক্র্যাশ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি চিকিৎসক সমাজ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে ডেঙ্গু জ্বর ও এডিস মশা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং এডিস মশা ধ্বংস করার ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
মকবুল বলেন, ‘এডিস মশা ধ্বংসের লক্ষ্যে আসল ওষুধ ব্যবহার না করে নকল ওষুধ ব্যবহার করে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিলম্বে হলেও তা সরকার স্বীকার করেছে। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, সরকারের উদাসীনতা ও গাফিলতিতেই এডিস মশা যেমন আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি ডেঙ্গু জ্বরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৮ জুলাই এডিস মশা ধ্বংসে কার্যকর ওষুধ ছিটানোর জন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে নির্দেশ দিয়েছেন। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে, এডিস মশা ধ্বংস করার জন্য তারা আগে অকার্যকর নকল ওষুধ ব্যবহার করেছিলেন। সরকার এর দায়িত্ব কিছুতেই এড়াতে পারে না।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার ও সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের আন্তরিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই সঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের আরোগ্য লাভে মহান আল্লাহর রহমত ও সাহায্য কামনায় দোয়া করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
কেএইচ/এনডিএস/এমএস