অবশেষে বাংলা সংগীত রিয়েলিটি শো ‘জি বাংলা সা রে গা মা পা ২০১৯’ চূড়ান্ত পর্ব প্রচারিত হলো। রোববার রাতে প্রচারিত হয়েছে পর্বটি। তবে অনেক আগেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গিয়েছিল এই আয়োজনের চূড়ান্ত পর্বের ফলাফল। জানা গিয়েছিলো বাদ পড়ছেন তুমুল আলোচিত বাংলাদেশের প্রতিযোগী নোবেল।
Advertisement
অনুষ্ঠান প্রচারের সময় সেই ফলাফলের কোনো ব্যতিক্রম দেখা যায়নি।
‘সা রে গা মা পা ২০১৯’ র সেরার মুকুট উঠেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার অঙ্কিতার মাথায়। যৌথভাবে প্রথম রানার আপ নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতার গৌরব এবং উত্তর দিনাজপুরের স্নিগ্ধজিৎ। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন নৈহাটির প্রীতম ও ওপার বাংলার মাঈনুল আহাসন নোবেল। আর কালিকা প্রসাদ ভট্টাচার্য স্মৃতি সম্মান দেওয়া হয়েছে সুমনকে।
এই প্রতিযোগিতার ফলাফল নিয়ে খুশি হতে পারেননি নোবেলের ভক্তরা। চলার পথে, বাসে সোশ্যাল মিডিয়াতে সবখানে আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। অনেকেই বলছেন পুরো শোতে বিচারকরা যেখানে নোবেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন চূড়ান্ত পর্বে এসে নোবেলের সঙ্গে অবিচার করেছেন তারা।
Advertisement
শেখ শাহাদাত তাসিন নামের এক নোবেল ভক্ত ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অবিচার করা হয়েছে নোবেলের ওপর। এটা মানা কষ্টকর। কেননা যাকে সেরা বর্ষসেরা শিল্পী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে তার থেকে অনেক ভালো পারফরম্যান্স ছিল নোবেলের। ইন্ডিয়া কখনো বাংলাদেশর একজন শিল্পীকে পুরস্কৃত করবে না।
ইন্ডিয়া সবসময় দুর্নীতি করে বাংলাদেশের সঙ্গে। এটা নতুন কিছু না। আজও তাই হলো এই গ্রান্ড ফিনালেতে। যেমনটা দেখতে পাই ক্রিকেট খেলায়। সমস্যা নেই। নোবেল সবার সেরা সেটা সাবাই জানে। রেজাল্টের দিকে তাকানোর কোনো প্রয়োজন নেই।’
সংগীত পরিচালক শান্তনু মৈত্র, জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর এবং শ্রীকান্ত আচার্যের মন জয় করে অন্যান্যদের পেছনে ফেলে ফাইনালের টিকিট পেয়েছিল মোট ৬ জন প্রতিযোগী। সুমন, গৌরব, স্নিগ্ধজিৎ, নোবেল, অঙ্কিতা ও প্রীতম। ফাইনালে স্পেশাল গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুখবিন্দর সিং।
প্রসঙ্গত ‘সা রে গা মা পা ‘র মেগা ফাইনালের সম্প্রচার রোববার হলেও এর শুটিং সম্পন্ন হয় ২৯ জুন নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। তাই বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নিউজ পোর্টালে আগে থেকেই এর ফলাফল প্রকাশ হয়ে যায়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে রোববার সম্প্রচারের পর আবারও আলোচনা, সমালোচনা শুরু হয়েছে গানের এই প্রতিযোগিতাটি নিয়ে।
Advertisement
এমএবি/এলএ/এমকেএইচ